Home Bangladesh লোকালয় ও বিদ্যালয়ে ঢুকছে পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

লোকালয় ও বিদ্যালয়ে ঢুকছে পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

113
0

বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডাবাড়ি ইউনিয়নে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বেড়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর তীর উপচে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশ দিয়ে লোকালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে পাঠদান করানো হচ্ছে। এতে করে যমুনাপাড়ের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

পানিতে নিমজ্জিত বিদ্যালয়গুলো হলো, উপজেলার কৈয়াগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ের প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী লেখাপাড়া করে থাকে। পানি ঢুকে পড়ায় বিদ্যালয়ে পাঠদান করানো যাচ্ছে না। এ কারণে বিদ্যালয়ের আশপাশে উঁচু বাড়ি কিংবা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। গত ১২ ঘন্টায় ৩৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার শহড়াবাড়ি ঘাট এলাকায় যমুনা নদীর পানি বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ দশমিক ২৫ মিটার। বর্তমানে যমুনা নদীতে ১৬ দশমিক ৩ মিটার সমতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

ভাণ্ডার বাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল বারী বলেন, বুধবার রাতে হঠাৎ করে লোকালয়ে যমুনা নদীর পানি ঢুকে পড়েছে। এতে এ বন্যায় গবাদিপশু পালনকারী, পাট ও মরিচ চাষিদের বেশি ক্ষতি হবে।

উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বাবু বলেন, বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্বদিকে বাড়িঘরের চারপাশে পানি থইথই করছে। চলাচলের রাস্তা ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বাড়িঘরে পানি ডুকে গেছে।এ ছাড়া ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা আছে।

তিনি বলেন, এ বন্যায় অনেক কৃষকের পাট, মরিচের বীজতলা পানির নিচে ডুবে গেছে। যমুনা পাড়ের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি।

ধুনট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুর রহমান বলেন, উপজেলার তিনটি বিদ্যালয়ের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষে পানি প্রবেশ করেছে। এ কারণে বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান করানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে শিক্ষকদের বিকল্প পদ্ধতিতে পাঠদান করাতে বলা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here