বগুড়ার আদমদীঘিতে শাশুড়ি খুনের অভিযোগে মেয়ে জামাইকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বগুড়া র্যাব-১২ ও র্যাব-১৩ এর যৌথ অভিযানে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার হাজীপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত শাশুড়ির নাম জোবেদা বেওয়া (৬২)। তিনি আদমদীঘি উপজেলার মিতইল গ্রামের মৃত ছোলেমান আলীর স্ত্রী। গ্রেপ্তারকৃতের নাম রাসেল আহমেদ (২৮)। তিনি একই গ্রামের সেলিম আহমেদের ছেলে। রাসেল তার শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে থাকতেন।
এর আগে বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার চাপাপুর ইউনিয়নের মিতইল পূর্বপাড়ায় এ খুনের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই তবিবুর রহমান বাদী হয়ে ওইদিন আদমদীঘি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, নিহত জোবেদা বেওয়া তার একমাত্র মেয়ে সালেহাকে আড়াই বছর আগে একই গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে রাসেল আহমেদের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে ঘরজামাই রাখেন। ঘরজামাই থাকাকালে রাসেল নানা কারণে তার স্ত্রী সালেহা ও শাশুড়ি জোবেদা বেওয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন।
বুধবার সকালে জামাই রাসেল গাছ কাটার জন্য শ্রমিক হিসেবে অন্য গ্রামে যান। দুপুরে কাজ শেষে বাড়ি ফিরে ভাত রান্না করতে দেরি কেন জানতে চান রাসেল। এ নিয়ে রাসেল তার স্ত্রীকে মারধর শুরু করলে তার মা জোবেদা এগিয়ে এলে রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে রান্নার পাতিল নামানো লোহার বেড়ি শাশুড়ির গলায় ঢুকিয়ে দেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দুপচাঁচিয়া হাসপাতালে ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদমদীঘি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।