Home Bangladesh ডিসি গার্ডেনের ভুতুড়ে বাড়িতে রাতে বসে মাদকের আসর

ডিসি গার্ডেনের ভুতুড়ে বাড়িতে রাতে বসে মাদকের আসর

80
0

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা শিল্পনগরীর গঙ্গানগর এলাকার চর রমজান সোনাউল্লাহ মৌজায় ২০১৬ সালে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ‘ডিসি গার্ডেন’।

ডিসি গার্ডেনই এখন দিনের বেলায় ভুতুড়ে বাড়ি আর রাতে মাদকসেবীদের আখড়া হয়ে উঠেছে। নির্মাণের পর থেকে ব্যবহৃত হয়নি একদিনও।

জানা গেছে, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা শিল্পনগরীর গঙ্গানগর এলাকার চররমজান সোনাউল্লাহ মৌজায় ১ একর ৭৭ শতাংশ খাসজমিতে ২০১৬ সালে ডিসি গার্ডেন রেস্ট হাউস নামের প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হয়।

নারায়ণগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. আনিছুর রহমান মিঞা ও তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু নাসের ভূঁইয়ার তত্ত্বাবধানে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। যার নির্মাণ ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৪৮ লাখ টাকা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বালুচরের চারদিকে ঝোপঝাড় বেষ্টিত তিন কক্ষবিশিষ্ট এক পরিত্যক্ত বাড়ি। বাড়ির ভেতরে গরু চষে বেড়াচ্ছে। প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় ডিসি গার্ডেনের দরজা-জানালাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট হয়ে গেছে। বাড়িটির দরজা, জানালা ও আসবাবপত্রের কোনো অস্তিত্ব নেই বললেই চলে।

শৌচাগার, রান্নাঘর থেকে শুরু করে প্রতিটি কক্ষই যেন পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ইট, বালু। মেঝেতে পড়ে আছে মাদকসেবীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র। নামে মাত্রই এটি ডিসি গার্ডেন।

স্থানীয়রা জানান, ডিসি গার্ডেন নামের রেস্ট হাউজটি নির্মাণের পর এখানে একদিনের জন্যও কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে আসতে কিংবা থাকতে দেখা যায়নি। উপজেলা সংলগ্ন সরকারি খাস জমি অনেক ছিল।

এমন একটি জনবিচ্ছিন্ন জায়গাতে রেস্ট হাউজটি নির্মাণ করেছেন তা তাদের জানা নেই। তবে বর্তমানে অন্ধকার নেমে এলেই এখানে অসামাজিক কার্যকলাপের পাশাপাশি মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়।

তারা আরও জানান, এখানে প্রচুর খাসজমি রয়েছে। এ এলাকায় কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। এখানে একটি বিদ্যালয় করে দেওয়ার দাবি জানাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি জানান, এখানে আশপাশে অনেক নামিদামি কোম্পানি রয়েছে। তারা নানাভাবে এসব পরিত্যক্ত সরকারি জায়গাগুলো স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীদের নিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দখল নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ কালবেলাকে বলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে পরিদর্শন করা হবে। তারপর এর রিপোর্ট পাঠানো হবে। আমি এখানে যোগদানের আগে এ রেস্ট হাউসের অধিকাংশ জিনিসপত্র চুরি হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, রেস্ট হাউসের নিরাপত্তার দায়িত্বে কে ছিলেন? চুরির ঘটনায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল কিনা সে বিষয়ে জানার চেষ্টা চলছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here