Home International ১৪ লাখ লিটার তেলবাহী ট্যাংকার ডুবেছে ম্যানিলা উপসাগরে

১৪ লাখ লিটার তেলবাহী ট্যাংকার ডুবেছে ম্যানিলা উপসাগরে

70
0

ফিলিপাইনের পতাকাবাহী একটি ট্যাংকার ১৪ লাখ লিটার জ্বালানি তেল নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ম্যানিলা উপসাগরে ডুবে গেছে। ফিলিপাইনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি ডুবে যাওয়ার পর এখন সেটি থেকে সাগরে তেল ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে তারা জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন। খবর এএফপির।

‘এমটি টেরা নোভা’ নামের এই অয়েল ট্যাংকারটি আজ ভোরে ফিলিপাইনের বাতান প্রদেশের লিমায় মিউনিসিপালিটি থেকে সাত কিলোমিটার দূরে ম্যানিলা উপসাগরে ডুবে যায়। ব্যস্ততম এই জলপথে এর পরপরই তেল ছড়িয়ে পড়া রোধে কয়েক কিলোমিটার এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ফিলিপাইন কোস্ট গার্ডের মুখপাত্র রিয়ার এডমিরাল আর্মান্দো বালিলো এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছি এবং আমরা জাহাজটি থেকে তেল ছড়িয়ে পড়া রোধে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, যদি ট্যাংকারটি থেকে জ্বালানি তেল বের হতে শুরু করে, তবে তা হবে ফিলিপাইনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা।

আর্মান্দো বালিলো বলেন, ‘ম্যানিলা বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখে রয়েছে, এমনকি ম্যানিলার উপকূল রেখা বরাবর এই জ্বালানি তেল ছড়িয়ে পড়তে পারে, কেননা ম্যানিলা উপসাগরের আওতায় রয়েছে ট্যাংকারটি।’

দেশটির পরিবহণ সচিব জিমি বাতিস্তা জানিয়েছেন, অয়েল ট্যাংকারটির ১৭ জন ক্রুর মধ্যে ১৬ জনকে ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের চারজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ফিলিপাইনের কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, এমটি টেরা নোভা ডুবে যাবার সময় সেখানকার আবহাওয়া বিরূপ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারী বৃষ্টিপাত ও টাইফুন ‘জায়েমি’র কারণে দেশটির রাজধানী ম্যানিলা ও এর আশপাশের এলাকার আবহাওয়া ছিল বেশ প্রতিকূল। কোস্ট গার্ডের কমান্ডার এডমিরাল রনি গাভান ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে আট লাখ লিটার শিল্প জ্বালানি তেল নিয়ে একটি অয়েল ট্যাংকার মিনদোরো দ্বীপের কাছে ডুবে গেলে সাগরে তেল ছড়িয়ে পড়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশটির মৎস্য ও পর্যটন শিল্প। এ সময় হাজারো জেলেকে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার নির্দশ দেওয়া হয় এবং সাগরে সাঁতার কাটা নিষিদ্ধ করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here