বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আটক ৬ সমন্বয়ককে মুক্তির দাবি জানিয়েছে ৬ দফা দাবি জানিয়েছে ক্ষুব্ধ নারীসমাজ।
বুধবার (৩১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় ক্ষুব্ধ নারীসমাজের ব্যানারে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়।
বর্তমান দেশের অবস্থায় নারীদের ক্ষোভ জানাবার জন্যে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাবার জন্যে গড়ে উঠেছে ক্ষুব্ধ নারীসমাজ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আর্টিস্ট ও ফিল্ম মেকার ঋতু সাত্তার বলেন, ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এলাকায় এলাকায় ব্লকরেইড করা হচ্ছে; গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অনেককে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর ২৪ ঘণ্টা পার হলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা অনেক ছাত্রদের বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের খবর না পাওয়ায় উদ্বিগ্ন এবং উৎকণ্ঠিত। তাদের অবিলম্বে প্রকাশ্যে আনা হোক।
বক্তারা ঘোষণা দেন ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত ক্ষুব্ধ নারীসমাজ রাজপথে তাদের পাশে থাকবে।
এছাড়া বক্তব্য দেন লেখক ও গবেষক রেহনুমা আহমেদ, শ্রমিক আন্দোলন নেত্রী তাসলিমা আখতার, অর্থনীতিবিদ মাহা মির্জা, বহ্নিশিখা জামালী, নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরিন হক, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী ও ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ, জান্নাতুল মাওয়া, নারীপক্ষের জাহানারা খাতুন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বিথী ঘোষ, কৃষ্ণকলি ও শিক্ষার্থী বুশরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নারীগ্রন্থ প্রবর্তনার নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার। সংবাদ সম্মেলন শেষে ক্ষুব্ধ নারীসমাজের একটি অংশ হাইকোর্টের সামনে অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য এগিয়ে গেলে প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশ তাদের আটকে দেয়।