ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের আটক বা দেশ ছাড়ার যেসব খবর ছড়িয়েছে তা সত্য নয়।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) কালবেলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
কালবেলার পক্ষ থেকে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘বিভিন্ন জায়গায় খবর ছড়িয়েছে আপনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। বিষয়টি কী?’
জবাবে হারুন বলেন, গতকাল বিমানবন্দর বন্ধ ছিল। খুলেছে আজ। আমি আপনার সঙ্গে কথা বলছি। তাহলে আমি কীভাবে পালিয়েছি?
এর আগে, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. হারুন অর রশীদকে গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) দায়িত্ব থেকে বদলি করা হয়। তাকে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস)-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
হারুন অর রশীদের জায়গায় ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মহা. আশরাফুজ্জামানকে। তিনি ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে লজিস্টিক, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্টের দায়িত্বে ছিলেন।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে ডিবিপ্রধানের দায়িত্ব পালন করতেন হারুন অর রশীদ। কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে নিয়ে আলোচনায় ছিলেন তিনি। ওই সমন্বয়কদের মধ্যে প্রথমে তিনজনকে ধরে নেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে। এরপর বাকি তিনজনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ডিবি হেফাজতে থাকা ছয় সমন্বয়ক গত রোববার (২৮ জুলাই) এক ভিডিও বার্তায় কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। ওই দিনই ডিবি কার্যালয়ে ওই সমন্বয়কদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে খাওয়ার বেশ কয়েকটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন হারুন।
এসব নিয়ে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার পাশাপাশি হাইকোর্টও উষ্মা প্রকাশ করেন। গত সোমবার একটি রিট আবেদনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ ছয় সমন্বয়কের কাঁটাচামচ দিয়ে খাওয়ার প্রসঙ্গ তুললে হাইকোর্ট বলেন, ‘এগুলো করতে আপনাকে কে বলেছে? কেন করলেন এগুলো? জাতিকে নিয়ে মশকরা কইরেন না। যাকেই ধরে নেন, একটি খাবার টেবিলে বসিয়ে দেন।’
এ ছাড়া সম্প্রতি হারুন অর রশীদকে নিয়ে একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ে তার সহকর্মীদের মধ্যে বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন এখন কোথায় আছেন তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন ওঠে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানা যায়, শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর জানার পর শাহবাগে লোকজনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এর আগে সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন দিনভর পুলিশপ্রধানের সঙ্গেই ছিলেন। শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর পাওয়ার পর থেকে ওয়্যারলেসে তিনি কোনো নির্দেশনা দেননি। আজ মঙ্গলবার তিনি জানালেন- দেশেই আছেন।