ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান হিসেবে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গোষ্ঠীটি নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্য দিয়ে হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হলেন ইয়াহিয়া।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার ঘটনায় গাজার যোদ্ধাদের মধ্যে শোক বিরাজ করছিল। তবে হানিয়াকে দাফনের পর দলকে আরও শক্তিশালী করার তাগিদ অনুভব করে তারা। এরই অংশ হিসেবে হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডের দায়িত্বে থাকা সিনওয়ারকে মনোনীত করেন শীর্ষ নেতারা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সামরিক শাখার নেতাকে হামাসের প্রধান করা গুরুত্ববহ, যা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দেয়। হয়তো দখলদারদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান জোরদারের পরিকল্পনাও রয়েছে। এ ছাড়া এবার সামরিক শাখা ও মাঠপর্যায়ের যোদ্ধাদের সঙ্গে রাজনৈতিক শাখার বোঝাপোড়া ভালো হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার খবর জানা যায়। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসমাইল হানিয়াহ গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন। ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হানিয়াহ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) থেকে তেহরানে অবস্থান করছিলেন। হামাস নেতারা যে ভবনে অবস্থান করছিলেন সেখান থেকে বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে হানিয়াহ এবং তার একজন দেহরক্ষীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে হামাস। গত বছরের অক্টোবরে হঠাৎ ইসরায়েলে হামাসের হামলার জেরে সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরু করেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এতে মানবিক বিপর্যয়ে পড়েছে পুরো গাজা।