অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে বঙ্গভবনের সামনে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। কেউ অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে এখানে দাঁড়িয়েছেন, পরিচিত কেউ এ সরকারের সদস্য হতে পারে সে আগ্রহ থেকেও এসেছেন অনেকে। উৎসুক জনতার ভিড়ের কারণে আশপাশের এলাকাতেও জটলা তৈরি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার ফটো সাংবাদিকরা। যদিও ভোগান্তি এড়াতে বঙ্গভবনের আশপাশে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।উৎসুক জনতার কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। সোলায়মান ভূইয়া নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ড. ইউনূস আমাদের আইডল। ওনাকে সম্মান জানাতে এখানে এসেছি। নতুন সরকারে আমারও কয়েকজন পূর্বপরিচিত আসার কথা শুনেছি। সবার সহযোগিতা থাকলে নতুন সরকার ভালো করবে।ব্যাংকার আবুল খায়ের বলেন, অফিস শেষ করে বাসায় ফিরছিলাম। আগে থেকেই জানতাম আজ বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ অনুষ্ঠিত হবে। সেটি অনুভব করার জন্যই এখানে এসেছি। আমরা চাই যারাই এই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে আসবেন তারা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ জাতিকে উপহার দেবেন।একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী কামরুজ্জামান রনি বলেন, এতকিছুর বিনিময়ে আজ দেশে নতুন সরকার গঠন হতে যাচ্ছে, সেটি দেখার আগ্রহ নিয়েই এখানে এসেছি। আমাদের সন্তানরা অনেক রক্ত ঝরিয়েছে দেশকে নতুনভাবে গড়ার লক্ষ্যে। আমার চাওয়া এই সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে।এদিকে শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে বঙ্গবভনের ভেতরে এবং বাইরের সড়কেও রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা। রাজধানীর রাজউক, অলিম্পিক ভবন, মাওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম ও বঙ্গভবনের আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া সড়কের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন।