মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, তারা ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালিয়ে দুটি ‘অ্যান্টিশিপ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র’ এবং একটি স্থল নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ধ্বংস করেছে। এ ছাড়া মার্কিন বাহিনীর পৃথক হামলায় লোহিত সাগরে একটি জাহাজও ধ্বংস করেছে। তবে তখন তাতে কোনো ক্রু ছিল না।
আলজাজিরার শুক্রবারের (৯ আগস্ট) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। বলা হয়, সেন্টকম ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীকে বেপরোয়া এবং বিপজ্জনক বলে অভিযুক্ত করেছে। যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। তাই গোষ্ঠীটির তৎপরতা রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে এ হামলার ধরন স্পষ্ট করেনি মার্কিন সেনাবাহিনী। ধারণা করা হচ্ছে, বিমানবাহিনীর সঙ্গে সমন্বিত আক্রমণ করে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে তারা।
গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে হুতিরা গত বছরের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরে ইহুদি ও তাদের দোসরদের মালিকানাধীন জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে। এতে এ বাণিজ্যিক পথে পণ্য আনা-নেওয়া হুমকির মুখে পড়ে। দুশ্চিন্তায় পড়ে পশ্চিমা বিশ্ব।
হুতিরা বলছে, যত দিন ফিলিস্তিনে হামলা চলবে তত দিন তারা ইসরায়েলকে শান্তিতে থাকতে দেবে না।
গত বছরের ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলার জেরে গাজায় অভিযান শুরু করে নেতানিয়াহুর সরকার। এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং হাজারো আহত হয়েছেন। ধ্বংস হয়ে গেছে ৭০ শতাংশের বেশি স্থাপনা।
এদিকে হুতিদের হামলার পেছনে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। হুতিদের এ হামলার পেছনে রাশিয়ার হাত রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
হুতিরা লোহিত সাগরের পাশাপাশি ভূমধ্যসাগর এবং আরব সাগরে এ হামলার পরিধি বাড়িয়েছে গোষ্ঠীটি। এমনকি পশ্চিমাদের যুদ্ধজাহাজকেও ইয়েমেন উপকূলছাড়া করেছে হুতিরা। তাদের শক্তির কাছে অনেকটাই কোণঠাসা ইসরায়েল, দিশেহারা হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা।
মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, হুতিদের গোপনে অস্ত্রের চালান এবং ফ্রন্টলাইনে টিকে থাকার নকশা করে যাচ্ছে ইরানের মিত্র দেশ রাশিয়া।
ওয়াশিংটনের দাবি, ইয়েমেনের অভ্যন্তরে হুতিদের রুশ সামরিক বাহিনী নানা পরামর্শ দিচ্ছে। এমনকি দেশটির গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ইয়েমেনে মোতায়েনও করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে তারা।