সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে ধর্ষণ মামলায় মো. সোনাউল্লা নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আসামির সম্পত্তি থেকে ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানের ভরণপোষণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আদালতের পেশকার মো. মোক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-২ বিচারক বেগম সালমা খাতুন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সোনাউল্লাহ কাজিপুর উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের হাতেম ভূইয়ার ছেলে।
পেশকার মো. মোক্তার হোসেন বলেন, ২০০৫ সালের ১৫ জানুয়ারি দুপুরে নির্যাতিত প্রতিবন্ধী তরুণীর বাবা-মার অনুপস্থিতির সুযোগে ওই বাড়িতে যান সোনাউল্লাহ। এ সময় তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এতে গর্ভবতী হয়ে পড়ে ওই প্রতিবন্ধী তরুণী। তখন পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু সে বিয়ে করতে তালবাহানা করতে থাকলে বাধ্য হয়ে বিষয়টি স্থানীয় মুরুব্বিদের জানায় পরিবারের লোকজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমের বাড়িঘর ভাঙচুর চালায় সোনাউল্লা গং।
পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের পরামর্শে নির্যাতিত প্রতিবন্ধীর বাবা বাদী হয়ে ২০০৫ সালের ২৩ জুন থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের বেশ কয়েক বছর পর বাদীর মৃত্যু হলে তার স্ত্রী এ মামলার বাদী হন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক আজ এ রায় প্রদান করেন।