Home Bangladesh বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র

85
0

বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনটি জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।

বুধবার (১৪ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য আমরা আমাদের ভারতীয় অংশীদারদের পাশাপাশি এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সাথে যোগাযোগ করেছি। আমি ব্যক্তিগত কূটনৈতিক আলোচনায় যাচ্ছি না। তবে আমরা বাংলাদেশে সহিংসতার অবসানের পাশাপাশি জবাবদিহিতা এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধার জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছি।

এ সময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করে বলেন, দুই ভারতীয় আমেরিকান কংগ্রেসম্যান রাজা কৃষ্ণমূর্তি ও শ্রী থানেদার পৃথক দুটি চিঠি পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে বাংলাদেশে হিন্দুদের জীবন রক্ষায় তার হস্তক্ষেপ এবং সাহায্য চাওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কি চিঠি দুটি পেয়েছেন? এ ব্যাপারে ব্লিঙ্কেন কী ভাবছেন?

জবাবে প্যাটেল বলেন, আমি সুনির্দিষ্ট চিঠিপত্র নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। তবে আমরা কংগ্রেসের অংশীদারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখি। মনে রাখবেন- বাংলাদেশকে শান্ত এবং সাম্প্রতিক সহিংসতার অবসানে অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আহ্বানকে আমরা স্বাগত জানাই। সেই সাথে নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সুরক্ষায় নতুন সরকারের লক্ষ্যকে আমরা স্বাগত জানাই।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। সেখানে বেশ কয়েক দিন নিভৃতে অবস্থানের পর মুখ খোলেন তিনি। ভারতের সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত তার বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রে তিনি উৎখাত হয়েছেন।

শেখ হাসিনার এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে কথা বলেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। তারা বলেছে, শেখ হাসিনার দাবিটি হাস্যকর।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এসব বলেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্যাটেল বলেন, এটা হাস্যকর। শেখ হাসিনার পদত্যাগের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত ছিল এমন যে কোনো ধারণা একেবারেই মিথ্যা। আমরা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রচুর বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াতে দেখেছি। এবং আমরা ডিজিটাল ইকোসিস্টেমজুড়ে তথ্যের অখণ্ডতা জোরদার করার জন্য অবিশ্বাস্যভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের অংশীদারদের ব্যাপারে আমরা গুরুত্ব দেই।

এ ছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নেওয়ার পর থেকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রায় সব প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে কথা হচ্ছে। তাতে মুখপাত্ররা বাংলাদেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ও মানবাধিকারে পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বার বার স্পষ্ট করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here