বিক্ষোভে উত্তাল ভারতীয় উপমহাদেশ। সম্প্রতি ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে বাংলাদেশে থেকে বিদায় নেয় শেখ হাসিনা সরকার। ভারতে শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় আন্দোলন চলমান। আর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিশ্বকাজয়ী অধিনায়ক ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পাকিস্তানে চলছে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইন্টারনেট সরবরাহের গতি কমিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। এ অবস্থায় আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই ম্যাচের সিরিজ খেলতে পাকিস্তান রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। একই সঙ্গে পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে চার দিনের এবং ওয়ানেড সিরিজ খেলতে দেশটিতে অবস্থান করছে বাংলাদেশ এ দল।
ইন্টারনেটে ধীরগতির কারণে বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দেশটির ক্রিকেট বিষয়ক গণমাধ্যম ‘ক্রিকেট পাকিস্তান’ জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট সেবা সীমিত করে দিয়েছে সরকার। কমানো হয়েছে ইন্টারনেটের গতি।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপি) জানিয়েছে, সারা দেশে গতি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমেছে। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ইন্টারনেট ভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে পাকিস্তান থেকে অনেক ক্রিকেটার দেশে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
গণমাধ্যমটির দাবি, মাঠের বাইরের সময়টুকু স্বচ্ছন্দবোধ করছেন না অনেক ক্রিকেটার। যদিও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বরাত দিয়ে ক্রীড়া বিষয়ক গণমাধ্যম ‘স্পোর্টসকিডা’ জানিয়েছে, এখনো সফরকারী দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ আসেনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের পরিবার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমাদের দল নিরাপদে আছে। আপাতত স্থানীয় নম্বর দিয়ে যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
আগামী ২১ আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে মাঠে গড়ানোর কথা পাকিস্তান-বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট। আর দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ৩০ আগস্ট, করাচিতে।