বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্বাধীনতা ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেছেন, স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের অপশাসনের কারণে ১৫ বছর যাবত এ দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে কোনো ভোট দিতে পারেনি। এরা মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। গুম, খুন ও আয়নাঘর প্রতিষ্ঠা করেছে। এ কারণে সন্ত্রাসী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ জাতীয় বীরদের স্মরণে স্বাধীনতা ফোরাম বরিশাল আয়োজিত শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রহমাতুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশের মানুষ নতুন করে তাদের স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। সুতরাং শিক্ষার্থীদের রক্তের সঙ্গে কেউ বেইমানি করলে জনগণ তাদেরও ছাড় দেবে না। এ সময় প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শেষে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ আরও বলেন, চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের আইনের হাতে তুলে দিন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্পষ্ট ঘোষণা, বিএনপিতে চাঁদাবাজদের কোনো ঠাঁই নেই।
বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপি ও স্বাধীনতা ফোরামের আহ্বায়ক আলহাজ নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক তারিক সোলায়মানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, স্বাধীনতা ফোরামের অন্যতম সংগঠক নাজমুস সাকিব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম ফরিদ, বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন মেবুল, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবির জাহিদ, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মন্টু খান, ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট তারেক আল ইমরান, মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাকসুদুর রহমান মাসুদ, কৃষক দলের সদস্য সচিব শাহেদ তালুকদার, চরমোনাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালাম রাঢ়ী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম জনি, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শহীদুল ইসলাম সাজ্জাদ প্রমুখ।
এর আগে বরিশাল সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন থেকে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল সহকারে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অশ্বিনী কুমার টাউন হল ও আশপাশের পুরো এলাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে।
সভা শেষে কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর নেতৃত্বে নগরীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলকারীরা শেখ হাসিনাকে দেশে এনে শাস্তির দাবি জানান।