১২ দিন পর পাওয়া গেল পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া আল আমিনের (২৯) লাশ। গতকাল শনিবার (১৮ আগস্ট) সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের ফ্রিজারে তাকে শণাক্ত করে তার পরিবার।
আল আমিনের বোন আফলাম সিনথিয়া জানান, গেল ৫ আগস্ট সাভারের বাইপালের জামগড়া থেকে নিখোঁজ হন আল আমিন। সরকার পতনের দিন সকালে ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে বিজয় মিছিলে যোগ দিতে বের হয়েছিলেন তিনি। এরপর আর ফিরে আসেননি।
নিখোঁজ হওয়ার পর তাকে হন্যে হয়ে সাভারের বিভিন্ন হাসপাতালসহ মর্গে খুঁজতে থাকে আল আমিনের পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব। কিন্তু তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায় না। অবশেষে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার লাশের সন্ধান পায় পরিবার।
জানা যায়, সেদিন বিকেল ৪টার দিকে নিজে পরে ফিরবেন বলে ছোট ভাইকে দোকানে পাঠিয়ে দেন আল আমিন। এরপর নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সাভারে গোলাগুলির খবর জানিয়ে লাইভও করেন। তবে এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে সেই গোলাগুলিতেই নিহত হন আল আমিন।
তার বন্ধু-বান্ধবরা জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলকালীন আন্দোলনকারীদের অগ্রভাগেই ছিলেন তিনি। সরকার পতনের দিন পুলিশের একটি গুলি নিহত হন তিনি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, আল আমিনের মাথায় গুলি লাগায় তার মৃত্যু হয়। দীর্ঘ ১২ দিন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্রিজারে ছিল তার লাশ।
আল আমিন শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার বিঝারি ইউনিয়নের পঞ্চপললি গ্রামের মো. ইসমাইল মীর সালাত এবং জেয়াসমিন বেগমের ছেলে। তিন ভাইবোনের মধ্য আল আমিন ছিলেন বড়।
এদিকে সংসারের বড় ছেলেকে হারিয়ে পাগল প্রায় মা। পরিবারে চলছে শোকের মাতম। ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছে সাক্ষাৎ করেছে পরিবার। আজ বিকেলে আলা আমনের দাফন সম্পন্ন হয়।