ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বাংলাদেশ ইস্যুতে কথা বলেন।
এ দিন তাকে প্রশ্ন করা হয়, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকাকে পেন্টাগন কীভাবে দেখে? এই ক্রান্তিকালে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে কোনো সহযোগিতা বা যোগাযোগ আছে কি?
জবাবে প্যাট রাইডার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। আমরা আমাদের পারস্পরিক মূল্যবোধ ও স্বার্থ রক্ষায় উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যু সামনে রেখে কাজ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু এটি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সম্পর্কিত সেহেতু আমরা আশা করব, বাংলাদেশে মানবাধিকার পালিত হবে এবং সব ধরনের সহিংসতা এড়ানো হবে।
এ সময় মার্কিন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন থাকলে তা পররাষ্ট্র দপ্তরে করার আহ্বান জানান প্যাট রাইডার।
এদিকে একই দিন নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক আন্দোলনে শেখ হাসিনার নির্দেশে গুলি করা হলে ৮১৯ জন নিহত এবং ২৫ হাজার আহত হয়েছেন উল্লেখ করে দায়ীদের বিচারের ব্যাপারে জাতিসংঘের অবস্থান জানতে চান। জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, জাতিসংঘ অবশ্যই বিচার দেখতে চায়। আমরা এই বিশেষ সংকটের শুরু থেকেই জবাবদিহিতার কথা বলে আসছি। সহিংসতা, প্রাণহানি এবং মানবিক ও রাজনৈতিক অধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়বদ্ধতা থাকা দরকার।