টানা বর্ষণে ও মেঘনা নদীর জোয়ারে পানি জমে লক্ষ্মীপুরের সর্বত্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয়দের সহযোগিতায় খালের অবৈধ বাঁধ অপসারণ করছে উপজেলা প্রশাসন। এ ছাড়া পানিবন্দিদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুরাইয়া জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সুরাইয়া জাহান বলেন, জেলায় জলাবদ্ধতায় প্রায় ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। বুধবার থেকে শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া আমাদের স্থায়ী ও অস্থায়ী ১৮৯টি সাইক্লোন শেল্টারগুলোও প্রস্তুত রয়েছে।
জলবদ্ধতা নিরসন নিয়ে ডিসি বলেন, লক্ষ্মীপুরের খালগুলোতে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে দখল করে রেখেছে প্রভাবশালীরা। এতে পানি নামতে পারছে না। জনগণ আমাদেরকে এ ব্যাপারে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছে। প্রশাসনের উপস্থিতি ও জনগণের সহযোগিতায় অবৈধ বাঁধগুলো কেটে দেওয়া হচ্ছে। পানিবন্দি মানুষের সহায়তায় কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ জামান খান বলেন, নদীতে ভাটা আসায় জলাবদ্ধতা নিরসনে সব স্লুইস গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। জোয়ারের সময় গেটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। সার্বক্ষণিক আমাদের কর্মীরা পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (২১ আগস্ট) থেকে লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকার সরকারি কলেজ রোড, সমসেরাবাদ, লামচরী, মজুপুর, কালুহাজী সড়কসহ জেলার কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন, চরলরেন্স ও চরকালকিনির নাসিরগঞ্জসহ অধিকাংশ ইউনিয়ন, রামগতি উপজেলার প্রায় সব কয়টি ইউনিয়ন, রামগঞ্জ ও রায়পুর উপজেলার ১০-১২টি ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে পানিবন্দি বাসিন্দাদের দুর্দশার চিত্র দেখা যায়।