কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের গয়টাপাড়া পাকা রাস্তা থেকে বিজিবি বিওপি ক্যাম্প পর্যন্ত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। বিকল্প রাস্তা না থাকায় কাদাপানি দিয়ে বিজিবি সদস্য ও স্থানীয়রা চলাচল করত।
এ অবস্থায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ছাত্র-জনতা মিলে চার কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটি সংস্কার কাজে নেমে পড়েন। বিজিবি ও ছাত্র-জনতার স্বেচ্ছাশ্রমে রোববার (২৫ আগস্ট) সংস্কার কাজ শেষ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাস্তাটিতে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষজন চলাচল ও সীমান্ত পাহারায় বিজিবি সদস্যরাও নিয়মিত টহলে যেতেন। প্রতিনিয়ত শতাধিক পরিবহন ও ছোটখাটো অসংখ্য যানবাহন চলাচল করছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটিতে পানি জমে কাদার সৃষ্টি হয়।
এতে রাস্তায় চলাচলে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ইতোপূর্বেও এলাকাবাসী রাস্তাটি সংস্কার করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছিল। কিন্তু রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে কোনো আলোর মুখ দেখতে পারেনি। তাই বিজিবি ও ছাত্র-জনতা মিলে স্বেচ্ছাশ্রমে এ রাস্তাটি সংস্কার কাজ করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিরা রাস্তাটির নামে প্রকল্প বরাদ্দ পেলেও তারা কাজ না করে বরাদ্দের টাকা আত্মসাত করেন।
গয়টাপাড়া এলাকার হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাগবে বিজিবি, ছাত্রসমাজ ও গ্রামবাসী মিলে এই এলাকার দুর্ভোগ লাগবের জন্য আমরা সবাই মিলে রাস্তাটি সংস্কার কাজ শেষ করেছি।
গয়টাপাড়া বিজিবি বিওপি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার এবি সিদ্দিক বলেন, কাদামাখা রাস্তাটি দিয়ে কষ্টে সীমান্ত পাহাড়ায় বিজিবির টহল সদস্যরা যেত এবং এলাকাবাসী একই কষ্টে চলাচল করেন। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে বিজিবি এবং ছাত্র-জনতা মিলে দুর্ভোগ কমাতে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মনছুরুল হক কালবেলাকে বলেন, এ রাস্তাটির জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ পেলে এ রাস্তাটি সংস্কার করা হবে।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান বলেন, আপাতত কোনো বরাদ্দ নেই। তবে এ রাস্তাটি সস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।