গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় গত দুই দিনের কালবৈশাখীতে ঘরবাড়ি, গাছপালাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত সোম ও মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বছরের প্রথম কালবৈশাখী প্রবাহিত হয়। এতে বেলকা ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার টিনশেড ঘর, গাছপালা, দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেলকা ইউনিয়নের রামডাকুয়া গ্রামে প্রায় ৩০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।সেই সঙ্গে বোরো ধান ও ভুট্টার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বেলকার রামডাকুয়া গ্রামের আলম মিয়া জানান, হঠাৎ করে রাতে প্রচণ্ড বেগে কালবৈশাখী শুরু হয়। নিমিষের মধ্যে তার তিনটি টিনশেড ঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় এবং পাঁচটি ফলদ গাছ উপড়ে যায়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তার পরিবারের সদস্যরা।বর্তমানে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
শান্তিরাম গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, ঝড়ো হাওয়ার কারণে বোরো জমির পাকা ধান নুয়ে পড়েছে। সেই সাথে ধানক্ষেতে হাঁটু পানি জমে গেছে। পাশাপাশি পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মণ্ডল জানান, কালবৈশাখীতে পৌর শহরের বেশ কিছুসংখ্যক গাছপালা ভেঙে এবং উপড়ে পড়েছে। চরাঞ্চলেও বেশ কিছুসংখ্যক টিনশেড ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা পাওয়া যায়নি। তালিকা পেলে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।