সকল নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ না থাকায় তাকে ফ্রিতেই দলে পেয়েছে লস ব্লাঙ্কোরা। যদিও দলের অন্য ফুটবলারদের তুলনায় তার পেছনে বেশিই খরচ করতে হবে স্প্যানিশ জায়ান্টদের।
সোমবার (৩ জুন) রাতে এক বিবৃতিতে এমবাপ্পেকে দলে ভেড়ানোর নিশ্চিত করেছে রিয়াল। বিবৃতিতে ক্লাব জানিয়েছে, আগামী ৫ মৌসুমের জন্য এমবাপ্পের সঙ্গে চুক্তি করেছে তারা। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে এমবাপ্পে নিজেও স্বপ্ন পূরণের কথা জানিয়েছেন।
এমবাপ্পে বলেন, ‘স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। আমার স্বপ্নের ক্লাবে যোগ দিতে পেরে খুবই খুশি ও গর্বিত। কেউ বুঝতে পারছে না, এখন আমি কতটা রোমাঞ্চিত। মাদ্রিদিস্তাসদের (রিয়ালের সমর্থকগোষ্ঠী) দেখার জন্য তর সইছে না। অবিশ্বাস্য সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। আলা মাদ্রিদ!’
তবে স্বপ্নের ক্লাবে যোগ দেয়ায় কমছে তার পারিশ্রমিক। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মুন্ডো দেপার্তিভোর দাবি, পিএসজিতে মৌসুম প্রতি ৭২ মিলিয়ন ইউরো বেতন পেতেন এমবাপ্পে। সেখানে রিয়ালে তার বেতন হবে ২৬ মিলিয়ন ইউরো। আয়কর কেটে নেয়ার পর যা হবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৯0 কোটি টাকার কিছু বেশি।
পিএসজির তুলনায় বেতন প্রায় চারগুণ কমলেও রিয়াল মাদ্রিদের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া খেলোয়াড় হবেন এমবাপ্পেই। মুন্ডো দেপার্তিভোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, টনি ক্রুসের বিদায়ের পর রিয়ালে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া খেলোয়াড় এখন ডেভিড আলাভা। তিনি মৌসুম প্রতি ২২.৫ মিলিয়ন ইউরো পান। পরের অবস্থান লুকা মদ্রিচের। তিনি পান ২১.৮৮ মিলিয়ন ইউরো। পরের স্থানে থাকা ভিনিসিউস জুনিয়র ও জুড বেলিংহ্যাম পান সমান ২০.৮৩ মিলিয়ন ইউরো করে।
মৌসুম প্রতি রিয়ালে এমবাপ্পে যে পারিশ্রমিক পাবেন, সেটা অবশ্য সতীর্থদের তুলনায় খুব বেশি নয়। তবে তিনি এগিয়ে থাকবেন সাইনিং বোনাসে। মুন্ডো দেপার্তিভোর দাবি, ৫ বছরের চুক্তিতে তিনি ১০০ থেকে ১৫০ মিলিয়ন ইউরো পাবেন। অর্থাৎ মৌসুম প্রতি চুক্তি স্বাক্ষরের বোনাস হিসেবে ২০ থেকে ৩০ মিলিয়ন ইউরো পাবেন তিনি।
এছাড়া নিজের ইমেজ স্বত্ব থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ পাবেন এমবাপ্পে। ইতোমধ্যে যেসকল স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি চুক্তিবদ্ধ আছেন, তার শতভাগই নিজে রাখবেন। আর রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর বিভিন্ন চুক্তি থেকে যে অর্থ পাবেন, তার ৮০ ভাগ তিনি রাখবেন, ২০ ভাগ পাবে ক্লাব।