Home Sports নিজ দেশে খেলতে চান ফিলিস্তিনরা

নিজ দেশে খেলতে চান ফিলিস্তিনরা

90
0

নিজ দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিন জাতীয় ফুটবল দল আসন্ন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছেছে। ইসরায়েলের আগ্রাসণের শিকার হওয়া দেশটির ফুটবলারেরা স্বপ্ন নিয়ে আছে যে ইসরায়েলের হামলার শান্তিপূর্ণ সমাধান শীঘ্রই তাদেরকে আবার তাদের ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ করে দেবে।

ফিলিস্তিন মঙ্গলবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় পার্থে তাদের বাছাইপর্বের শেষ খেলায় অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে। উভয় দলই ইতিমধ্যে পরবর্তী পর্বে উত্তরণ নিশ্চিত করেছে। নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে, ফিলিস্তিন ২০১৯ সাল থেকে ঘরের মাঠে কোনও খেলা আয়োজন করতে পারেনি। তারা নিজেদের মাঠে সর্বশেষ পশ্চিম তীরে ফয়সাল আল-হুসেইনি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সৌদি আরবের বিপক্ষে ০-০ ড্র করেছিল।

সম্প্রতি সংঘর্ষের কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের পরিকল্পিত ঘরের বাছাইপর্বের খেলা কুয়েতে স্থানান্তরিত করতে বাধ্য হয়। তারপর থেকে, কাতার এবং কুয়েত ফিলিস্তিনের ‘ঘরের’ খেলার বিকল্প ভেন্যু হিসাবে কাজ করেছে।

‘ঘরে খেলা যে কোনও দলের জন্য একটি বড় অনুপ্রেরণা।’ বলেন মধ্যমাঠের খেলোয়াড় মোহাম্মদ রাশিদ। ‘এটি একটি শক্তি, এটি যে কোনও দলের জন্য সবচেয়ে বড় সুবিধা। আমরা প্রার্থনা করি যে শীঘ্রই আমরা তা করতে পারব, বিশেষ করে পরবর্তী রাউন্ডে। ঘরে না খেলা আমাদের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ।’

গত বৃহস্পতিবার, লেবাননের বিপক্ষে ০-০ ড্র করে ফিলিস্তিন পরবর্তী বাছাইপর্বে তাদের স্থান নিশ্চিত করেছে, এই ফলাফল তাদের টানা চতুর্থ বারের মতো এশিয়া কাপে অংশগ্রহণের সুযোগ কনে দিয়েছে।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পরবর্তী পর্যায়টি ছয়টি গ্রুপে বিভক্ত হবে, যেখানে প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল ২০২৬ বিশ্বকাপে একটি স্থান নিশ্চিত করবে। অতিরিক্ত স্থান প্লে-অফের মাধ্যমে পাওয়া যাবে।

‘[বিশ্বকাপ বাছাই] একটি বড় স্বপ্ন,’ রাশিদ আরো বলেন।

‘এটি আমাদের ফিলিস্তিনের নাম সারা বিশ্বে তুলে ধরার সুযোগ দেয়। এটি ফুটবল, কিছুই অসম্ভব নয়। কিন্তু সামনে অনেক কঠিন কাজ রয়েছে। আমাদের মানুষকে আনন্দ দেওয়াই আমাদের একমাত্র অনুপ্রেরণা।’

চলমান সংঘাত ফিলিস্তিনি দল বা তাদের সমর্থকদের মনোবল কমাতে পারেনি। গাজা এবং সারা ফিলিস্তিনে খেলাগুলো দেখার ছবি আশা এবং অনুপ্রেরণা প্রদান করে ফিলিস্তিন দলকে।

গ্লোবাল মানবিক প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে, অস্ট্রেলিয়ার একটি দল তাদের ম্যাচ ফি’র একটি অংশ গাজার অক্সফামের সাহায্য কাজে দান করবে, যা প্রফেশনাল ফুটবলার্স অব অস্ট্রেলিয়া (পিএফএ) দ্বারা সমর্থিত। বাংলাদেশের কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে ইউএনএইচসিআরের প্রচেষ্টার জন্যও দান করা হবে।

সকারু এবং পিএফএ প্রেসিডেন্ট জ্যাকসন আরভিন এই অবদানগুলির গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ফুটবলের মাধ্যমে, আমরা বিশ্বের বিভিন্ন স্থান দেখতে পাই এবং ইতিবাচক প্রভাব ফেলার সুযোগ পাই। মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনাগুলি ভয়াবহ, এবং অবিলম্বে সহায়তা প্রয়োজন।’

ফিলিস্তিন ফুটবল মাঠে তাদের বিশ্বকাপ যাত্রা অব্যাহত রাখলেও তাাদের যুদ্ধবিধ্বস্ত জন্মভূমিতে শান্তির আশা এবং ঘরের মাঠে খেলার স্বপ্ন সর্বদা বিদ্যমান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here