মাদকাসক্ত অবস্থায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে অস্ত্র কেনা মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন অভিযুক্ত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১১ জুন) তার বিরুদ্ধে আনা ৩টি অভিযোগই প্রমাণিত হয়। নির্বাচনের আগে এ ধরনের ঘটনায় বিব্রত বাইডেন।
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, ছেলের দোষী সাব্যস্তের খবরে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি আদালতের যে কোনো রায় মেনে নিতে প্রস্তুত বলে জানান।
বাইডেন বলেন, আমি গত সপ্তাহে বলেছিলাম- আমি রাষ্ট্রপতি কিন্তু একজন বাবাও। জিল ও আমি আমাদের ছেলেকে ভালোবাসি। আমি এই মামলার ফলাফল মেনে নেব। তেমনি হান্টার আপিল করলে বিচারিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করব। জিল, আমি, পরিবারের বাকি সদস্যরা সব সময় হান্টারের পাশে আছি। তার প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও সমর্থন থাকবে। এ ছাড়া আর কোনো কিছুই পরিবর্তন করব না।
বাইডেনের এ মন্তব্যের পর বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্টের কথা অনুযায়ী তিনি তার ছেলেকে ক্ষমা করবেন না। তবে তিনি ছেলের সাজা কমিয়ে দেবেন কি না তা স্পষ্ট নয়।
অপরদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হান্টারের কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি হান্টারকে ‘ভয়ংকর ব্যক্তি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। ট্রাম্প বলেন, হান্টারের বাবা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে খারাপ প্রেসিডেন্টদের একজন। তিনি বন্দুক নিয়ন্ত্রণের লোকদের খুশি করার বিষয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। তাই তিনি হান্টারকে সাহায্য করার সাহস পাবেন না।
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘চিন্তা করো না, জো। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর তোমার ছেলেকে বাঁচাব।’
বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, ২০১৮ সালে একটি রিভলভার কেনেন হান্টার। আগ্নেয়াস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে একটি ফরমে বাধ্যতামূলকভাবে কিছু তথ্য দিতে হয়। কিন্তু মিথ্যা তথ্য দেন হান্টার বাইডেন।
সরকারি কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, অস্ত্র কিনতে হলে মাদকাসক্ত অথবা কোনো নেশাদ্রব্য গ্রহণ করেন কি না সে ব্যাপারে স্পষ্টভাবে জানাতে হয়। কিন্তু হান্টার এক্ষেত্রে অস্ত্র ব্যবসায়ীকে মিথ্যা তথ্য দেন। মিথ্যা কথা বলেই তিনি অস্ত্রটি নেন এবং ১১ দিন সেটি নিজের কাছে রাখেন।
আদালতে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেওয়ার সময় হান্টারকে খুব একটা বিচলিত দেখা যায়নি। অভিযুক্ত হওয়ায় হান্টারকে এখন ২৫ বছরের কারাদণ্ড দিতে পারে আদালত।