Home Bangladesh বৃষ্টিতে বিপুল আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত

বৃষ্টিতে বিপুল আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত

249
0

একটানা এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা বৃষ্টিপাত পটুয়াখালী ও বরগুনার আমন বীজতলা এবং বিস্তীর্ণ কৃষিজমিকে প্লাবিত করে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে, যার ফলে কৃষিকাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।

ফলে, দুই উপকূলীয় জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা আমন ধানের চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন, কারণ নতুন করে বীজতলা প্রস্তুত করার জন্য তাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় নেই।

কৃষকদের মতে, প্রতি বছর তারা সাধারণত জুলাই মাসে আমন বীজতলা প্রস্তুতির কাজ শুরু করেন। কিন্তু এবার একটানা বৃষ্টির কারণে অনেক বীজতলা হাঁটু সমান পানির নিচে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।

পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৫২,২৭৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছিল, এবং প্রায় ২ লাখ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্য ছিল। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী বৃষ্টির কারণে ৩,৭৫২ হেক্টর জমির বীজতলা আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অন্যদিকে, বরগুনা ডিএই বলছে যে ৮,৭০৭ হেক্টর জমির প্রায় এক-চতুর্থাংশ বীজতলা সম্পূর্ণ পচে গেছে এবং ১,৪১২ হেক্টর জমির বীজতলা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পটুয়াখালীর সদর উপজেলার আউলিয়াপুর গ্রামের কৃষক আবু জাফর জানান, একটানা এক মাসের বৃষ্টির কারণে তার ২০ শতক জমির বীজতলা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। গলাচিপা উপজেলার আমখোলা গ্রামের কৃষক খায়রুল মৃধাও জানান, এই সময়ে সাধারণত চারা রোপণের কাজ শুরু হয়, কিন্তু তার পুরো বীজতলা নষ্ট হওয়ায় তিনি চিন্তিত যে, আদৌ এবার ধান রোপণ করতে পারবেন কিনা।

বরগুনার সদর উপজেলার খেজুরতলার কৃষক নাজিম মিয়া বলেন, তার ২৪ শতক জমির সব ধান গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। এবার ধান চাষ করতে হলে তাকে অন্য এলাকা থেকে চারা সংগ্রহ করতে হবে, এবং এতে অতিরিক্ত খরচ হবে।

বরগুনা ডিএই এর উপ-পরিচালক ডা. আবু সাঈদ মো. জোবায়েদুল আলম বলেন, একটানা বৃষ্টির ফলে জেলায় ১,৯০৩ হেক্টর জমির আমন বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পটুয়াখালী ডিএই এর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, আগস্ট মাসজুড়ে বৃষ্টির কারণে ৮,৭৫২ হেক্টর জমির বীজতলা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here