পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় যুবদলের সদস্য সচিব তাহসিন জামান রোমেলের প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে নিয়ে তোলা একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে।
ছবিতে দেখা যায়, রাজধানীর ভাটারা থানার সামনে প্রকাশ্যে একটি ভারি অস্ত্র নিয়ে যুবদল নেতা রোমেল। ছবিটি নিয়ে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মী ও জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, তাহসিন জামান রোমেল মঠবাড়িয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড এলাকার আবু জাফরের ছেলে ও মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব। তার চাচা সিদ্দিকুর রহমান বাদশা মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইরাস চেয়ারম্যান। আরেক চাচা শাহাবুদ্দিন মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরে বিক্ষুব্ধ জনতা রাজধানীর ভাটারা থানায় আগুন দেয়। সেখানে রোমেলের অস্ত্র হাতে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। বোঝা যায় রোমেল সেখানে ছিল এবং সহিংসতায় অংশ নিয়েছে। তার এমন কাজে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের এক নেতা বলেন, রোমেল ৫ আগস্টের পর থেকেই দলের নির্দেশনা অমান্য করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে মঠবাড়িয়া উপজেলায় হামলা, ভাঙচুর চালাচ্ছে এবং জনমনে ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, গত ৭ আগস্ট রোমেল তার ফেসবুকে ছবিটি পোস্ট করে এবং পরে আবার ছবিটি সরিয়ে নেয়। কিন্তু এরই মধ্যে ছবিটি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে রোমেল বলেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট ১টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর ভাটারা থানার সামনে রাস্তার ওপর কিছু সংখ্যক অস্ত্র পড়ে থাকতে দেখে তা তুলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে থাকা সেনাবাহিনীর কাছে দিয়ে দেই। এ সময় আবেগের বসে একটি সেলফি তুলে এলাকার এক ছোট ভাইকে পাঠালে সে ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করে। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন এটা নিয়ে সুবিধা নেওয়ার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে।
পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী অহিদুজ্জামান লাভলু বলেন, বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।