ব্যাংক থেকে এক লাখ টাকার বেশি উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিরাপত্তাজনিত কারণে গতকাল বুধবার (৭ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এক জরুরি বার্তায় এমন নির্দেশনা দিয়েছে বলে কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক।
তিনি বলেন, দেশে চলমান পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোর টাকা স্থানান্তরে নিরাপত্তার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান এই অর্থ স্থানান্তরের কাজটি করেন, তারাও এখন সাহস পাচ্ছেন না। ফলে ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে। এরই পরিপ্রক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এমন নির্দেশনা দিয়েছে। তবে অনলাইন লেনদেনে যে কোন অঙ্কের লেনদেন করা যাবে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন গ্রাহক নগদ টাকা উত্তোলন করতে না পারলেও যে কোনো পরিমাণ নগদ টাকা স্থানান্তর ও অনলাইন লেনদেন করতে পারবে। জানা গেছে, সরকার পরিবর্তনের পর নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ কিছুটা বেড়ে যায়। বিশেষ করে আওয়ামীপন্থী রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী পরিবার থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ দেখা যায়। এসব অর্থ যাতে কোনোভাবেই সন্ত্রাসী বা অবৈধ কাজে ব্যবহার না হয়, সে জন্য নগদ টাকা উত্তোলন কিছুটা নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ধারাবাহিকতায় গতরাতে এই সিদ্ধান্ত জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক আজকের জন্য প্রধান কার্যালয় থেকে শাখায় টাকা দেওয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকদের চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ উৎসাহিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বলেন জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, বর্তমানে দেশে কোনো সরকার নেই এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক নয়। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে আজ নতুন সরকার শপথ নিলে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজে যোগ দিলে আশা করা যায়, আগামী রোববারের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তখন হয়তো এই সমস্যা থাকবে না।
ব্যাংকগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই নগদ টাকার সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে তারা গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী টাকা সরবরাহ করতে পারছে না। নিরাপত্তার অভাবে টাকাও আনতে পারছে না। ফলে নগদ টাকার সংকটে তাদের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল। তারা বলেন, এই সিদ্ধান্ত আরও আগে নিলে ভালো হত।