অবস্থা যা চলছে তাতে মনে হচ্ছে খুব শিগগিরই তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে নতুন এক যুদ্ধ দেখবে বিশ্ববাসী। এমনিতেই ইউক্রেন ও গাজা যুদ্ধ নিয়ে বেশ নাকাল ভূরাজনীতি।
এর মধ্যেই নতুন এক যুদ্ধের ধকল কতটা সইতে পারবে তার কোনো নির্দিষ্ট হিসাব নেই কারও কাছে। কিন্তু এত কিছুর পরও সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
এমনকি রণপ্রস্তুতির অংশ হিসেবে পুনর্গঠন করেছেন সেনাবাহিনী। তবে কি যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিতে পারবে চীন? এমন প্রশ্নই সবার মুখে মুখে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চীনের সামরিক উত্তাপ বেশ ভালোভাবেই টের পাচ্ছে তাইওয়ান। গেল মাসে স্বশাসিত দ্বীপটিতে সরকার গঠনের পর সর্বোচ্চ যুদ্ধ সক্ষমতা দেখাতে শুরু করেছে চীনা সামরিক বাহিনী।
এমনকি তাইয়ান ঘিরে সামরিক মহড়াও চালিয়েছে বেইজিং। ওই মহড়ার পর চীনের একজন সামরিক মুখপাত্র বলেন, তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ নিতে তাদের সামরিক বাহিনী পুরোপুরি প্রস্তুত ও সতর্ক রয়েছে।
মে মাসে চীনের নতুন বিমানবাহী রণতরী সাংহাই থেকে সমুদ্রে পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের পর নৌবাহিনীতে সবচেয়ে বেশি বিমানবাহী রণতরীর দেশে নাম লিখিয়েছে চীন। এর আগে যুদ্ধ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গেল এপ্রিল মাসে চীনের সেনাবাহিনীতে বড় ধরনের রদবদল করেন তিনি। এক দশকের মধ্যে চীনের সেনাবাহিনীতে এত বড় পরিবর্তন করা হয়নি।
জিনপিং জানান, আধুনিক যুদ্ধে জয়ী হতে নতুন কাঠামো চীনা সামরিক বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে বেইজিং এখন যুক্তরাষ্ট্রের সমকক্ষ হতে চায়। তাই তারা সেনাবাহিনী পুনর্গঠন করছে।
এরই মধ্যে দক্ষিণ চীন সাগর, পূর্ব চীন সাগর ও তাইওয়ান প্রণালি ঘিরে ওয়াশিংটন ও বেইজিং মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।
বেইজিংয়ের প্রতি অভিযোগ করে ওয়াশিংটন বলেছে, আগ্রাসী আচরণ করে আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করছে তারা। অন্যদিকে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনকে এশিয়া অঞ্চলে নাক গলানোর অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে, ২১ জুন তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষের কট্টর সমর্থকদের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিষয়টি বিচারিক নির্দেশিকায় যুক্ত করে চীন। ফৌজদারি অপরাধের বিশেষ গুরুতর মামলার ক্ষেত্রে এ শাস্তি প্রযোজ্য হবে বলে উল্লেখ করা হয় এতে।
নির্দেশনায় বলা হয়, তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে যারা ওকালতি করবেন, তাদের ১০ বছর থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। স্বাধীনতার প্রচেষ্টায় যারা মূল ভূমিকা নেওয়ার চেষ্টা করবেন এবং রাষ্ট্র ও জনগণের মারাত্মক ক্ষতি করবেন, তাদের এ শাস্তি দেওয়া হবে।