জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আগামী নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে তিনি দলের প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। খবর আলজাজিরার।
আগামী বছরের অক্টোবরে জাপানে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতা নির্বাচনের হিসাব-নিকাশ চলছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দলটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হবে। এ পরিস্থিতিতে তিনি আর প্রার্থী হবেন না বলে ঘোষণা দিলেন। এর মানে হলো, জাপান নতুন কাউকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতে যাচ্ছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে কিশিদা বলেন, এলডিপির নেতৃত্বে একজন নতুন মুখ দেখার সময় এসেছে। তিনি নতুনদের নেতৃত্বকে পুরোপুরি সমর্থন করবেন। এই নির্বাচনে জনগণকে দেখাতে হবে যে এলডিপি পরিবর্তন হচ্ছে এবং এলডিপি নতুন এক দল।
তিনি আরও বলেন, স্বচ্ছ ও মুক্ত নির্বাচন এবং অবাধ ও জোরালো বিতর্ক জরুরি। এলডিপি পরিবর্তিত হবে; তা দেখানোর সবচেয়ে সুস্পষ্ট প্রথম পদক্ষেপটি হলো আমার সরে যাওয়া। আমি আসন্ন এলডিপির প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না।
কিশিদা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ইতোমধ্যে তার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। দেশটির জাতীয় সংবাদমাধ্যম এনএইচকেসহ স্থানীয় গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
পার্লামেন্টে এলডিপির সবচেয়ে বেশি আসন থাকায় যিনি দলীয় নেতা হওয়ার দৌড়ে জিতবেন তিনিই হবেন জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
কিশিদা ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তিন বছরের মেয়াদের জন্য দলীয় সভাপতি নির্বাচিত হন এবং এর পরই একটি সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হন।
কোভিড মহামারীর সময়ে জাপানের নেতৃত্বে ছিলেন ফুমিও কিশিদা। বড় আকারের আর্থিক প্রণোদনার মাধ্যমে মহামারীর সময় দেশ সামলেছেন তিনি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কেলেঙ্কারি এবং মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগ ওঠে।