Home International ইমরানের রাজনীতির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকছে পাকিস্তান সরকার

ইমরানের রাজনীতির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকছে পাকিস্তান সরকার

69
0

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। শেহবাজ সরকার পিটিআইর বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী কার্যক্রম’র অভিযোগ এনে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিগগিরই এ ইস্যুতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার।

সোমবার (১৫ জুলাই) তথ্যমন্ত্রী আতা তারার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে পিটিআইর অস্তিত্ব রাখা যাবে না। খবর দ্য ডন এর।

তারার বলেন, বিদেশি তহবিল মামলা, ৯ মে দাঙ্গা এবং সাইফার মামলার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে পাস করা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিশ্বাস করি, পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার মতো যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ফেডারেল সরকার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে নিষিদ্ধ করতে একটি মামলা করবে।

তিনি বলেন, আমরা পিটিআইর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদ সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলো নিষিদ্ধ করার অধিকার দেয়।

বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন পাকিস্তানি তথ্যমন্ত্রী। ইমরান খানকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনি আপনার রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস করতে গিয়েছিলেন।

এদিকে, এই ঘটনাকে পিটিআইর বিরুদ্ধে নতুন দমনপীড়নের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন। তারা লিখেছে, এই পদক্ষেপ কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলকে জাতীয় পরিষদে একক বৃহত্তম দল হতে বাধা দেওয়ার প্রচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে।

কী আছে ১৭ অনুচ্ছেদে পাকিস্তানের সংবিধানের ১৭ (২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে না থাকা পাকিস্তানের প্রত্যেক নাগরিকের একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার বা সদস্য হওয়ার অধিকার থাকবে। তবে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব বা অখণ্ডতার স্বার্থে আইনের মাধ্যমে সেই দলের ওপর যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধ আরোপ করা যাবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক দল পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব বা অখণ্ডতার জন্য ক্ষতিকর পদ্ধতিতে গঠিত হয়েছে বা এ ধরনের কাজ করছে, কেন্দ্রীয় সরকার এমন ঘোষণা দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here