প্রায় দেড় যুগ পর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতন হয় শেখ হাসিনার সরকারের। শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে গত সোমবার (৫ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যান সদ্য সাবেক হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরদিন বিলুপ্ত করা হয় জাতীয় সংসদ। এরপর বিভিন্ন মহল থেকে জোরালো হয় ক্রীড়াঙ্গানের নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবি। বাংলাদেশের প্রধান তিন খেলা ক্রিকেট, ফুটবল ও হকির নেতৃত্বের পরিবর্তন চেয়ে দাবি তোলেন অনেকে।
এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবি তুলছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। শুরুতে এ নিয়ে মুখ খুলেন ইমরুল কায়েস। এরপর সোচ্চার হন রুবেল হোসেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে বিসিবির কর্তাদের বিরুদ্ধে ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। রয়েছে রদবদলের দাবি।
মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেন, ‘গত কয়েক বছরে দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করার নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিরা দেখলাম বলতেছে দেশে সুশাসন চায়। শুধু অপছন্দের তালিকায় থাকার কারণে অসংখ্য ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেওয়া ব্যক্তিরা এখন ক্ষমতার পালা বদল দেখে রং বদলানোর চেষ্টায় আছে।’
শুধু কর্তাদের নয় জাতীয় দলে কোচিং স্টাফেও পরিবর্তনের দাবি তোলেন জাতীয় দলের সাবেক পেসার, ‘একইভাবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহেসহ তার অবৈধ কাজে সহায়তা করে দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করা ব্যক্তিদের অন্তত আর কোনো দায়িত্বে দেখতে চাই না।’ এর আগে জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েসও দাবি তোলেন বিসিবি সংস্কারের। অনেক ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছে বিসিবি এমন অভিযোগ তোলেন তিনি। ফেসবুকে লেখেন, ‘সম্প্রতি একটা সাক্ষাৎকার দেখলাম বোর্ড কর্মকর্তারা মুখোশ পাল্টে এখন মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন। এদের কারণে ক্রিকেটের যে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সবাই জানেন। কত প্লেয়ারের ক্যারিয়ার যে ধ্বংস করছে তারা- শুধু তাদের পছন্দের তালিকায় না থাকার কারণে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে ন্যূনতম সম্মান দেখানো হয় না।’