ইসরায়েলে হামলার বাহানা খুঁজছে ইরান। এমন কথা জানিয়েছেন খোদ ইরানের শীর্ষ একজন সামরিক কর্মকর্তা। গেল এপ্রিলে ইসরায়েল প্রথমবারের মতো সরাসরি হামলা চালায় ইরান। সেই হামলায় সাফল্য পেয়ে ইরানের বুকের ছাতি ফুলে উঠেছে। ইরানের মিডিয়া জানিয়েছে, তাই আরও একবার ইসরায়েলে হামলা চালানোর পথ খুঁজছে তেহরান।
গাজা উপত্যকায় স্বজন হারানোদের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এমন কথা বলেন ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী অ্যারোস্পেস ফোর্সের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলি হাজিজাদেহ। ইরানের শীর্ষ এই কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা ব্যক্তিরা গাজা থেকে এসেছেন তিনি, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। হাজিজাদেহের বরাতে মেহের নিউজ জানায়, আমরা অপারেশন ট্রু প্রমিজ টু’র সুযোগ আসার অপেক্ষায় আছি।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি ড্রোন এবং ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার জন্যও গর্ব প্রকাশ করেন হাজিজাদেহ। ২০২০ সালে ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালিয়েছিল ইরান। দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিবাদে ওই হামলা চালায় তেহরান। ইরাকের বাগদাদে এক মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছিল সোলাইমানি।
এর আগে চরম শত্রু ইরানকে পুরোপুরি গুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে কাটজ লেখেন, যারা ধ্বংসের হুমকি দেয় তারা ধ্বংস হয়ে যাওয়াটা তাদের জন্য প্রযোজ্য। লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধারা যদি ইসরায়েলে হামলা চালানো বন্ধ না করে এবং সীমান্ত থেকে সরে না যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে পূর্ণ শক্তি প্রয়োগেরও হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতিসংঘে ইরানের মিশন শুক্রবার জানায়, ইসরায়েল যদি লেবাননে ‘পূর্ণমাত্রার সামরিক আগ্রাসন’ শুরু করে তাহলে ‘মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার এক যুদ্ধ’ হবে। নিজেদের এক্স হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করা এক বার্তায় তারা আরও জানায়, যদি এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাহলে সব প্রতিরোধ ফ্রন্টের জড়িয়ে পড়ার মতো অপশন বিবেচনাধীন আছে। ইরানের এমন মন্তব্যের পরই ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই প্রতিক্রিয়া দেখান।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা নিহত হন। এর জবাবে গেল ১৪ এপ্রিল কয়েকশ’ মিসাইল দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান। এমন নজিরবিহীন হামলায় হকচকিয়ে যায় ইসরায়েল। সেই হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের পাশে এসে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি জর্ডানও ইসরায়েলকে সাহায্যে এগিয়ে যায়। তবে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের সম্ভাবনা ইরানকে টেনে নিতে পারে।