দেশে ৩টি বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে অন্যতম পর্যটন এলাকা বাগেরহাট। এখানে বছরজুড়েই ব্যাপক পর্যটকের সমাগম ঘটে। ষাটগম্বুজ মসজিদ, সুন্দরবন, অযোদ্ধার মঠ ও খানজাহান আলির মাজারসহ বিশ্বখ্যাত পর্যটক প্রিয় এলাকা বাগেরহাটের অহংকার। এ ছাড়া এর বাইরে আছে আরও ৫টি বিনোদনকেন্দ্র।
এসব বিনোদনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাগেরহাট শহরের দশানী এলাকায় পৌর শিশুপার্ক, নাগেরবাজারে পৌর পার্ক, বারাকপুরের সুন্দরবন রিসোর্ট, চুলকাঠি এলাকায় চন্দ্রমহল, ফকিরহাটে পাগলা পার্ক। বিভিন্ন উৎসবে এখানে দর্শনার্থীদের প্রচুর ভিড় থাকে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে এসব বিনোদন কেন্দ্রগুলোকে একটু বিশেষ সাজে সাজিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আয়োজকরা জানান, এবারের ঈদের ছুটিতে বিনোদনকেন্দ্রগুলো দর্শনার্থীদের বাড়তি আনন্দ দিতে বিভিন্ন প্রাণী সম্ভারসহ নতুন নতুন রাইডস চালু করা হয়েছে। যাতে চড়ে সব বয়সী দর্শনার্থীরা উপভোগ করতে পারেন। ভ্রমণপিপাসুরা এখানে এসে পরিবার পরিজন নিয়ে তাদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারেন।এ ছাড়া প্রতি বছরের ন্যায় বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনকে পর্যটকদের জন্য ঘুরে দেখতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এসব স্থানে দর্শনার্থীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি।
চন্দ্রমহল ইকোপার্কের ব্যবস্থাপক কাবুল হোসেন জানান, চন্দ্রমহল এ অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র ও শুটিংস্পট। এখানে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ ঘুরতে আসেন। আমরা ঈদ উপলক্ষে চন্দ্রমহলের আলোকসজ্জা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ সকল ব্যবস্থা শেষ করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে প্রস্তুত বাগেরহাটের বিনোদন কেন্দ্রগুলো।
সুন্দরবন রিসোর্টের ব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, বাগেরহাট শহরের কাছে অনেক বড় জায়গা নিয়ে আমাদের এ রিসোর্ট। আমাদের এখানে কুমির, কচ্ছপ, বানর, বিভিন্ন পাখিসহ অনেক প্রজাতির প্রাণী আছে। এর সঙ্গে আছে বাচ্চাদের আনন্দের জন্য বিভিন্ন খেলনা। আর ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমরা রিসোর্টকে খুব আকর্ষণীয় করে সাজানো হয়েছে।
বাগেরহাটের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাস্টোডিয়ান মো. জায়েদ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্যাপক দর্শনার্থীর সমাগম ঘটবে। আমরা ষাটগম্বুজকে সেইভাবেই প্রস্তুত রেখেছি।
বাগেরহাটের ট্যুরিস্ট পুলিশ বাগেরহাট জোনের পুলিশ পরিদর্শক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ জেলা বাগেরহাট। এখানে বছরজুড়েই পর্যটক থাকে। এবার ঈদের ছুটিও বেশি । ঈদ উপলক্ষে দর্শনীয় স্থানগুলোতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। ইতোমধ্যে আমাদের একাধিক পেট্রল টিম কাজ শুরু করেছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।