দেশের অন্যান্য স্কুলের মতো রাজধানীর বিএএফ শাহীন কলেজও আজ খুলেছে। ক্লাসে-পরীক্ষার টেবিলে ছাত্রছাত্রীরা ফিরলেও ফেরেনি আন্দোলনে বুলেটবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারানো এ কলেজের শিক্ষার্থী শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফ। আহনাফের টেবিলটা আজ ছিল ফাঁকা। তবে তার স্মরণে বন্ধুরা সেখানে ফুল রেখেছেন। আহনাফের শোকাহত বন্ধুরা তাদের প্রিয় সহপাঠীকে ভুলে নাই, কখনো ভুলতে পারবে না।
শ্রেণিকক্ষের সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবিটি পোস্ট করে আবেগঘন স্টাটাস দিচ্ছেন নেটিজেনরা। সঙ্গে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন শাফিক উদ্দিন আহম্মেদ আহনাফকে।
লেখক ও সাংবাদিক মাজহার সরকার লিখেছেন, ‘বিএএফ শাহীন কলেজ, বন্ধুদের মাঝে ফুল হয়ে ফিরেছে শহীদ আহনাফ।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহবুব এ রহমান লিখেছেন, ‘বন্ধুরা ফিরেছে। ফেরেনি আহনাফ। এভাবে কত আহনাফরা ফিরবে না আর! তাদের এই আত্মত্যাগ আমাদের গৌরবের মিনার। আমাদের নায়কদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।’
আহনাফ ছিলেন একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ২০২৫ সালে তার এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে শুরু থেকেই সোচ্চার ছিলেন আহনাফ। আন্দোলনে অংশ নিয়ে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেটে আহত হয়ে একবার বাসায়ও ফিরেছিলেন।
১৭ বছর বয়সী শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গত ৪ আগস্ট রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে গুলিতে নিহত হন।
আহনাফ তার পরিবারের সদস্যদের বলত, বড় হয়ে এমন কিছু করবে, যার জন্য পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে গর্ব করবে। তবে আহনাফের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এভাবে তারা গর্বিত হতে চাননি।