Home International কানাডাকে কেন গাড়ি চুরির রাজধানী বলা হচ্ছে?

কানাডাকে কেন গাড়ি চুরির রাজধানী বলা হচ্ছে?

89
0

২০২২ সালের অক্টোবরের এক সকালে নিজের নতুন রাম রেবেল ট্রাকটি হারিয়ে ফেলেন লোগান লাফ্রেনিয়ের। সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, দুজন হুডিপরা ব্যক্তি মাঝরাতে তার পার্ক করে রাখা গাড়িতে ঢুকে সেটিকে চালিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনা ঘটে কানাডার অন্টারিও রাজ্যের মিল্টনে।

এর কয়েক মাস পরেই আবিষ্কার করেন তার থেকে একটি মহাসাগর ও সাড়ে ৮ হাজার কিলোমিটার দূরে আফ্রিকার দেশ ঘানায় একটি ট্রাক বিক্রির জন্য ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।

আরেক দেশে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত ট্রাকটি ছিল মূলত লাফ্রেনিয়েরের হারিয়ে যাওয়া ট্রাকটিই। ছবি দেখে আর কোনো সন্দেহ রইল না তার। এমন ঘটনার ভুক্তভোগী অবশ্য লাফ্রেনিয়ের একা নন। ওই বছর কানাডাকে ১ লাখ ৫ হাজারের বেশি গাড়ি চুরি হয়। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি পাঁচ মিনিটে একটি গাড়ি চুরি হয়েছিল সেখানে। আর ভুক্তভোগীর তালিকায় ছিলেন কানাডার কেন্দ্রীয় বিচারমন্ত্রীও।

চলতি গ্রীষ্মের প্রথমদিকে নিজেদের ডাটাবেসে থাকা ১৩৭টি দেশের মধ্যে গাড়ি চুরিতে শীর্ষ ১০ দেশের তালিকা হালনাগাদ করেছে আন্তর্জাতিক পুলিশ। এতে কানাডার অবস্থান ছিল সবার ওপরে। দেশটিতে গাড়ি চুরির ঘটনা এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে মাত্র ফেব্রুয়ারিতে ইন্টারপোলের সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদান শুরু করাতেই তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে উত্তর আমেরিকার দেশটি।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, চুরি যাওয়ার পর গাড়িগুলো হয়তো কোনো দুর্ধর্ষ অপরাধে ব্যবহৃত হয় অথবা সেগুলো অন্যকোনো কানাডিয়ানের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয় কিংবা বিদেশে পাচার করে দেয়া হয়।

ইন্টারপোলের তথ্য বলছে, তারা ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বজুড়ে অন্তত দেড় হাজার গাড়ি শনাক্ত করেছে যেগুলো কানাডা থেকে চুরি হয়েছিল। প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন দেশের বন্দরগুলোতে এ ধরনের আরও অন্তত ২০০টি গাড়ি শনাক্ত করা হচ্ছে বলেও জানায় সংস্থাটি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here