চলমান কোটা আন্দোলন নিয়ে এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে বিক্ষোভ মিছিল ও পদযাত্রা করেছেন রাবি, রুয়েট, রামেক, রাজশাহী কলেজ ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে অবস্থান নিতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর সাড়ে বারোটায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী কলেজ ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে আন্দোলনে অংশ নেন। এরপর দুপুর ২টা পর্যন্ত একযোগে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যান তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’; ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ রাখা যাবে না’; ‘বাধা আসবে যেখানে, লড়াই হবে সেখানে’ ইত্যাদি স্লোগানে আন্দোলন মুখরিত করেন।
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন বলেন, আমাদের আজকের আন্দোলন ২০১৮ সালে শুরু হয়েছিল। তখন সরকার সরকারি চাকরিতে সব কোটা প্রথা বাদ দিয়েছিল। কিন্তু ২০২৪ সালে এসে সরকার আবার একটি অযৌক্তিক কোটার বোঝা মেধাবী ছাত্রদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। আমরা সেই অযৌক্তিক বোঝাটাকে আমাদের মাথা থেকে নামিয়ে দেওয়ার জন্যই আন্দোলনে নেমেছি। এ আন্দোলনের জন্য কুমিল্লা, চট্রগ্রামে আমাদের ভাইদের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে সরকারি চাকরিতে যেন যৌক্তিকতার ভিত্তিতে মেধাবীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এস আর এম ফাহিম রেজা বলেন, শুরু থেকেই আমরা আন্দোলন করে আসছি, বর্তমান বৈষম্যমূলক সব কোটা বাতিল করতে হবে এবং সর্বসাকুল্যে অনধিক ৫ শতাংশ কোটা রাখতে হবে। এ বিষয়টি নিয়ে অনেক আদালত আদালত খেলা হয়েছে, আইন আইন খেলা হয়েছে। আমরা পরবর্তীতে দাবি জানিয়েছি আমরা আর আদালতের দিকে তাকাব না, বিচার বিভাগের দিকে তাকাব না। আমরা প্রতি জেলা থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছি। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে আহ্বান জানিয়েছি, তিনি অনতিবিলম্বে সংবিধানের বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করে আইনের মাধ্যমে কোটা সংস্কার করবেন।