মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে এত ক্ষোভ কেন- এমন প্রশ্ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিরা যদি কোটা সুবিধা না পায় তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা এ সুবিধা নেবে।
রোববার (১৪ জুলাই) বিকেল ৪টায় গণভবনে তিন দিনের চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নিজেদের জীবন বাজি রেখে যারা যুদ্ধ করেছিল তাদের জন্যই আজ আমরা স্বাধীন দেশে বাস করছি। আজকে গলা বাড়িয়ে কথা বলতে পারছি। স্বাধীন না হলে পাকিস্তানিদের বুটের লাথি খেয়ে চলতে হতো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীন সফর নিয়ে অনেকে নানা কথা বলে বেড়াচ্ছেন। তারা শুধু আমাকে হেয় করতে এসব বলছেন। আমি এগুলোকে খুব গুরুত্ব দেই না। ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর থেকে এ ধরনের নেগেটিভ কথা শুনে অভ্যস্ত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে আমার কিছু যায় আসে না। যখন ভারতে গেলাম তখন তারা বলে যে দেশ বেঁচে দিয়েছি। এগুলো বলেই যাচ্ছে। এটা এক ধরনের মানসিক অসুস্থতা। তাদের প্রতি করুনা হয় আমার।
গত ৮ জুলাই চার দিনের সফরে চীনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে সফর সংক্ষিপ্ত করে ১০ জুলাই রাতে দেশে ফিরে আসেন তিনি।
বেইজিংয়ে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও চীন ২১টি সহযোগিতার নথিতে সই এবং নবায়ন করে। এসবের বেশিরভাগই সমঝোতা স্মারক।