কোটা বাতিলের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) বই পুড়িয়ে প্রতিবাদ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টা থেকে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। পরে বই পুড়িয়ে দুঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয়। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলমান রয়েছে।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জিহাদুল ইসলাম বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল রেখে হাইকোর্টের আদেশ এটি অন্যায়। আমাদের সঙ্গে নাটক চলছে। এই নাটকের অবসান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তারেক রহমান বলেন, সরকারি চাকরিতে পুনরায় কোটা পদ্ধতি বহাল রাখা হয়েছে। এই খবর শোনা মাত্রই দেশের ছাত্রসমাজ কোটা বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে নেমেছে। বেশ কয়েকদিন ধরে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। সরকার তো মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সুযোগ-সুবিধা ও তাদের প্রাপ্য সম্মান দিচ্ছেন। কিন্তু কোটা রেখে কেন? বাকিদের কেন অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন? যারা বাংলাদেশের মেধাবী রয়েছে, তাদের যোগ্যতা কেন কেড়ে নিচ্ছে। এ সিদ্ধান্ত দেশকে মেধাবীশূণ্য জাতিতে পরিণত করবে। আমরা কোটা চাইনা। অবিলম্বে এ পদ্ধতি বাতিল চাই। আশাকরি কোটা বাতিল করে আদালত রায় প্রদান করবেন। যদি কোটা বাতিল না হয়, তাহলে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ফারিয়া সুলতানা লিজা বলেন, ২০১৮ সালে আমাদের অধিকার ফিরে পেয়েছিলাম অথচ তা আবার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। কোটা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাস্তায় থাকবো। আমাদের কোটার প্রয়োজন নেই। কোটা আমাদের দেশের মেধাকে শূণ্য করে দিচ্ছে। এটা শুধু আমাদের দাবি না, পুরো দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীর দাবি। তাই শিগগিরই কোটা বাতিল করা হোক।
বরিশাল বন্দর থানার ওসি এম এ মুকুল বলেন, শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবসময় সজাগ আছে। যানবাহন ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি যাতে তারা দ্রুত রাস্তা ছেড়ে দেয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ইসমাইল তালুকদার, সাজ্জাদ, লোকপ্রশাসন বিভাগের হাসিবুর রহমান শেখ, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবু নছর মোহাম্মদ তোহা, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাইনুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের তামিম ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অপর্না আক্তার।