ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফার কার্যালয় জানিয়েছে, প্রায় দেড় মিলিয়ন পোলিওর টিকা গাজায় জাতিসংঘের শিশু সংস্থার (ইউনিসেফ) গুদামে রাখা আছে। শিগগির তা একযোগে প্রয়োগে ক্যাম্পেইন শুরু করা হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে। তারা বলেছে, টিকাগুলো সঠিক প্রোটোকলের অধীনে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। দ্রুত ক্যাম্পেইন শুরু করতে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গাজায় নবজাতক থেকে ১০ বছর বয়সী ৯৫ শতাংশ শিশু এ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে আছে। তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আরও চার লাখ টিকা সংগ্রহের প্রচেষ্টা চলছে।
ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত উপত্যকাটির পয়ঃনিষ্কাশন এবং বর্জ্যের পানিতে চলতি মাসে পোলিও ভাইরাসের নমুনা শনাক্তের পর শিশুদের টিকা দেওয়ার জন্য যুদ্ধে বিরতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ ছাড়া অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাও একই দাবি জানিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল তাতে বিন্দুমাত্র পাত্তা দিচ্ছে না।
এদিকে রেড ক্রিসেন্টসহ কিছু সংস্থা গাজায় বিক্ষিপ্তভাবে পোলিও টিকা কার্যক্রম চালাচ্ছে। সে কেন্দ্রগুলোতে টিকা নিতে বাসিন্দারা শিশুদের নিয়ে ভিড় করছেন। কিন্তু পর্যাপ্ত টিকা ইসরায়েলি অবরোধের মুখে গাজায় পৌঁছাতে না পারায় কার্যক্রম খুব একটা সফল হচ্ছে না।
ইসরায়েলের এ ধরনের কার্যক্রমের বিরোধিতা করে আসছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। বুধবার (২৮ আগস্ট) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় পোলিও ছড়ানোর ব্যাপারে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। তারা মনে করছে, নেতানিয়াহুর বাহিনীর বাধা উপত্যকায় দ্রুত পোলিও ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলেছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় ত্রাণসহায়তা বিতরণে বাধা প্রদান, স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোতে আক্রমণ এবং পানি সরবরাহের ক্ষতি করছে। এগুলো সম্ভাব্য বিপর্যয়মূলক পোলিও প্রাদুর্ভাবের সহায়ক।