ঢাকার নবাবগঞ্জে শিবিরের অফিসে গোপন বৈঠক করার সময় ছয় জামায়াত-শিবির নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। এ সময় পেট্রোল বোমা ও বিপুল পরিমাণ হামলার সরঞ্জামাদি, উগ্রবাদী বই, পোস্টারসহ জামায়াত-শিবির কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।
রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ দক্ষিণ) মো. আমিনুল ইসলাম নবাবগঞ্জ থানা সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নবাবগঞ্জ থানা পশ্চিমের জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. হারুন অর রশিদ (৪৯), নবাবগঞ্জ থানা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সালাউদ্দিন আমান (২৩), থানা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি শাহরিয়ার মুরসালিন অনিক (২১), থানা ছাত্রশিবিরের সাথী সদস্য জাকির হোসেন (২১), থানা ছাত্র শিবিরের সাথী সদস্য তৌফিকুল তাহসিন মাহি (২০) ও থানা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক তামিম ইউসুফ (১৯)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, শনিবার (২৭জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলা সদর কাশিমপুর গ্রামের সামছুল ইসলাম খানের বাড়িতে ছাত্রশিবিরের অফিসে জামায়াত ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা গোপন সভা করছিলেন। গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায় তারা নবাবগঞ্জ উপজেলার সরকারি স্থাপনায় অন্তর্ঘাতমূলক হামলা করার পরিকল্পনা করছেন। পরে থানার ওসি মো. শাহ জালালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও বাকিরা পালিয়ে যান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, ছাত্রশিবিরের অফিস থেকে ৭টি পেট্রোল বোমা, ৩টি লোহার শাবল, ২৫টি বাঁশের লাঠি, দুই বস্তা ইটের টুকরো, ৯টি লোহার রড, দুইটি ল্যাপটপ, বিপুল পরিমাণ উগ্রবাদী বই, পোস্টার, চাঁদার রসিদসহ জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছে। নবাবগঞ্জে জামায়াত ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের সংশ্লিষ্টদের অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
পরে গ্রেপ্তারকৃতদের কড়া পুলিশি পাহারায় ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে দোহার সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মো. আশরাফুল ইসলাম, থানার ওসি মো. শাহ জালাল উপস্থিত ছিলেন।