গুঞ্জন ও আলোচনার বিষয়ের মধ্যে প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল, রোববার বিকেলের দিকে এক প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মতিউর রহমান ভারতে পালিয়ে গেছেন। তার চেহারা আড়াল করতে সিন্ডিকেটের পরামর্শে তিনি মাথার চুল ফেলে ছদ্মবেশে পালিয়ে যান বলে আলোচনা চলছে।
ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসার পর থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমানের হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। তার বিভিন্ন বাসভবনে খোঁজ নিয়েও সন্ধান মেলেনি। এমনকি কোরবানির ঈদের ছুটির পর অফিস খুললেও তিনি আর অফিসে আসেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের দেশ ছেড়ে পালানোর গুঞ্জনের বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে, আখাউড়া ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ মো. খায়রুল আলম বলেন, ‘এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের দেশ ছাড়ার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। কারণ তিনি আখাউড়া স্থলবন্দরের দিয়ে দেশ ত্যাগ করলে, তার লাল পাসপোর্ট থাকত। লাল পাসপোর্টধারী যাত্রীর বিষয়ে আমরা অনেকটাই সতর্ক থাকি।’ মতিউর রহমানের দেশ ছেড়ে পালানোর বিষয়টিকে সেফ গুজব বলে উড়িয়ে দেন তিনি।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দরের অপর একটি সূত্র জানায়, দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা না থাকলে যে কেউ বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে অন্যদেশে যেতে পারেন। তার পাসপোর্ট নম্বরটি পেলে তিনি আখাউড়া দিয়ে ভারত গেছেন কিনা বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যেত।
আখাউড়া স্থল বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম তালুকদার বলেন, “এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের দেশত্যাগের বিষয়টি সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত নই। বিভিন্ন মাধ্যমে এ সংক্রান্ত বিষয়ে খবর পাচ্ছি। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভারতের ইমিগ্রেশনের সাথে কথা বলেছেন। তবে এ সম্পর্কে কোনো সঠিক তথ্য কিংবা খোঁজ পাওয়া যায়নি।”
উল্লেখ্য, ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতের ‘১৫ লাখ টাকার ছাগল কেনা’ ইস্যুতে তোপের মুখে পড়েন মতিউর। ইফাতের ছাগল কেনার বিষয়টি প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই তা ‘টক অব দ্য কান্ট্রিতে’ পরিণত হয়। শুধু তাই নয়, বেরিয়ে আসতে থাকে এই কর্মকর্তা ও তার পরিবারের অঢেল সম্পদের তথ্য।