পাকিস্তানের সরকার আর মাত্র দুই মাস টিকবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক কথা বলার সুযোগে এ মন্তব্য করেন তিনি।
দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সাংবাদিকদের কাছাকাছি হওয়ার সুযোগ পান ইমরান খান। তিনি ভবিষ্যতবাণী করে বলেন, ‘পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতৃত্বাধীন সরকার আর মাত্র দুই মাস ক্ষমতায় টিকতে পারবে। সরকার একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যে বোকার মতো কাজ করছে। তারা কিছু মেনে নিতে চান না।’ সরকার পতনের সময়সীমা তার অনুমান বলেও জানান ইমরান খান।
ইমরান খানের ক্ষমা চাওয়ার যে খবর ছড়িয়েছে তা বিকৃত বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, ৯ মের দাঙ্গার জন্য শর্তহীন ক্ষমার জন্য আমি রাজি হইনি। একটি ভুল ধারণা মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে। কেবল পিটিআই নেতা-কর্মীরা দাঙ্গায় জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে ক্ষমা চাইব।
প্রসঙ্গত, ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তানজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন সরকারি সম্পদ ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালান। পুলিশকে পিটিয়ে আহত করেন। এ ছাড়া বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি-ঘরেও হামলা হয়। এ জন্যও ইমরান খানকে দায়ী করে সামরিক বাহিনী। তবে ইমরান খান অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তিনি বলেছেন, সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালানোর নির্দেশ দেওয়ার মতো বোকা তিনি নন।
এদিকে ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন তার দলের নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন ইমরান খানের সমর্থকরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। শুরু হতে পারে সহিংস পরিস্থিতি।
এমনিতেই পাকিস্তানের রাজনীতি নাটকীয়তায় মোড়ানো। দেশটিতে এখন পর্যন্ত কোনো প্রধানমন্ত্রীই শান্তিতে মেয়াদ পূর্ণ করে যেতে পারেননি। তার আগেই কোনো না কোনো কারণে দেশটি উত্তাল হয়েছে। ইমরান খানকেও মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ক্ষমতা ছাড়তে হয়।
ইমরান খানের সমর্থকরা বলছেন, গত নির্বাচনে তাদের জোর করে হারানো হয়েছে। তাদের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন চালানো হয়েছে। এখনো বিভিন্ন মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।