ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির চুক্তি নতুন করা লেখা হচ্ছে। দুপক্ষের কেউ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হওয়ায় নতুন করে কিছু পরিবর্তন আসছে এ চুক্তিতে। শনিবার (২৯ জুন) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রস্তাবিত জিম্মি এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তি নতুন করে প্রস্তাব করছে। ইসরায়েলে জিম্মিদের পরিবারের ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যে এমন তথ্য জানা গেছে।
শনিবার সংবাদমাধ্যম এক্সিওজ যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্রের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানিয়েছে। তারা বলছে, চুক্তির ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হচ্ছে। এ অনুচ্ছেদে প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে।
চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, চুক্তির ১২তম অনুচ্ছেদও সংশোধন করা হয়েছে। এ অনুচ্ছেদে প্রথম ধাপ থেকে দ্বিতীয় ধাপে স্থানান্তরের কথা বলা হয়েছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার চুক্তিটি সফল করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী এ পরিবর্তন অনুমোদন করলে চুক্তিটি কার্যকর হতে পারে।
দুপক্ষের মধ্যে চুক্তি বাস্তবায়ন হলে গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। এ সময় হামাস গাজায় জিম্মি থাকা ইসরায়েলি নারী, বয়স্ক ও অসুস্থদের মুক্তি দেবে। এ ছাড়া এ সময়ে দ্বিতীয় ধাপে যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা চলমান থাকবে। দ্বিতীয় ধাপে হামাস তাদের হাতে থাকা বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেবে। তবে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করলে ইসরায়েল আবার গাজায় অভিযান শুরু করতে পারবে।
হামাসের দাবি, চুক্তির জন্য গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হতে হবে। সাময়িক কোনো যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে চাইছে না গোষ্ঠীটি। অন্যদিকে ইসরায়েল সাময়িক যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে আসছে।
হামাসের শীর্ষ নেতা ওসামা হামদান অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের শর্ত মেনে নেওয়ার জন্য হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগ করে আসছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা করে ইসরায়েল। দেশটির হামলার জবাবে গাজায় পাল্টা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এরপর থেকে এ যুদ্ধ দীর্ঘ আট মাসের বেশি ধরে এ যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। এ সময়ে বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের হাতে এখনো শতাধিক জিম্মি রয়েছেন।