জাপান থেকে আমদানি করা বিভিন্ন মডেলের ১০৭ রিকন্ডিশন্ড গাড়ি নিলামে তুলছে মোংলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বুধবার (৫ জুন) সকাল থেকে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যে কেউ বাংলাদেশ কাস্টমসের ই-অকশন ওয়েবসাইটে নিবন্ধন ও বিড করতে পারবেন।
আমদানির পর শুল্ক জটিলতা ও নির্দিষ্ট সময় ছাড় না হওয়ায় এগুলো বিক্রির জন্য নিলামে তুলছে মোংলা কাস্টমস হাউজ।
কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আবু বাসার সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বন্দর সূত্রে জানায়, মোংলা বন্দর দিয়ে জাপান থেকে আমদানি করা এসব গাড়ি ৩০ দিনের মধ্যে শুল্ক পরিশোধ করে ছাড় করানোর নিয়ম থাকলেও আমদানিকারক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তা করেননি। ফলে কাস্টমস ও সরকারি নিয়মানুযায়ী পর্যায়ক্রমে নিলামে ওঠানো হচ্ছে এ সকল রিকন্ডিশন গাড়িগুলো। নিলামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতার তালিকা প্রকাশের পর এই গাড়িগুলো বিক্রি করা হবে। পরে সর্বোচ্চ দরদাতাকে নিলামে ক্রয় করা গাড়ি তাদের হেফাজতে বুঝিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
হাইয়েস, মাইক্রো, করোলা ফিল্টার, পাজেরো, পিয়াস হাইব্রিড, এক্সিও হাইব্রিড, প্রোবক্স, অ্যাকোয়া, নিশান, টয়োটা ভিজ, টয়োটা হাইব্রড ও অ্যাম্বুলেন্সসহ আরও কয়েক ব্র্যান্ডের ১০৭টি গাড়ি নিলামে তোলা হবে। নিলামে উঠানো এ গাড়িগুলো ১৯৯৩ সাল থেকে ২০২২ সাল মডেলের গাড়ি বলেও জানায় মোংলা কাস্টমস।
সোমবার (৩ জুন) মোংলা কাস্টমস হাউজের ওয়েবসাইটে নিলামের জন্য গাড়ি ও অন্যান্য পণ্যের চূড়ান্ত ক্যাটালগ প্রকাশ করছেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। নিলামে গাড়ি ছাড়াও গ্যাস সিলিন্ডার ও অন্যান্য মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ রয়েছে।
মোংলা কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার মাহফুজুর রহমান জানান, মোংলা কাস্টমসের রাজস্ব আয়ের ৫২ শতাংশ আসে আমদানি করা বিদেশি গাড়ির শুল্ক থেকে। দীর্ঘদিন আমদানি করা গাড়ি বন্দরে পড়ে থাকলে অন্যান্য পণ্য রাখায় জায়গা জটিলতায় সমস্যা তৈরি হয়। নিলাম প্রক্রিয়া চালু রাখলে গাড়ি বা অন্যান্য পণ্য রাখতে ব্যবসায়ীদের সুবিধার পাশাপাশি সঠিক সময় সরকারের রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে।
শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোংলা বন্দর দিয়ে এক লাখ ৮৪ হাজার ৮৯৯টি আমদানিকৃত গাড়ি মোংলা বন্দরে খালাস করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মোংলা বন্দর দিয়ে প্রথম গাড়ি আমদানি শুরু হয় ২০০৯ সালের ৩ জুন। প্রথম চালানে এ বন্দর দিয়ে ২৫৫টি রিকন্ডিশন্ড (ব্যবহৃত) গাড়ি আমদানি করে হক-বে অটোমোবাইল কোম্পানি।