কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সের টাকা বন্যার্তদের মাঝে দেওয়া হবে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কয়েকটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু মসজিদ কমিটির সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, পাগলা মসজিদ কমিটির কাছে বন্যার্তদের জন্য সাহায্য চেয়ে কেউ আবেদন করেনি। মসজিদটি যেহেতু ওয়াকাফকৃত সম্পত্তি, সেহেতু দানের টাকা ব্যয় করতে গেলে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে করতে হয়।
পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, পাগলা মসজিদের দানের টাকা বন্যার্তদের দেওয়া হবে কিনা তার এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দানের টাকা বিতরণের যে তথ্য ছড়িয়েছে সেটি গুজব। এমন কোনো সিদ্ধান্ত হলে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হবে।
এর আগে গত শনিবার (১৭ আগস্ট) পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া দানবাক্স থেকে স্বর্ণ, রুপাসহ বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়।