অল্প-স্বল্প কিছু বিতর্ক থাকলেও সফলভাবে অলিম্পিক শেষ করেছে প্যারিস। আর ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ আশীর্বাদ হয়ে এসেছে ফ্রান্সের অর্থনীতির জন্য। ফুলে ফেঁপে উঠেছে ইউরোপের দেশটির পর্যটন খাত।
বিক্রি হয়েছে প্রায় ১১ মিলিয়ন টিকিট। এতে চাঙা হয়েছে প্যারিস, মার্শেইসহ দেশটির একাধিক পর্যটন শহর। এজন্য আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ক্রীড়াবিদে মুখরিত প্যারিসে এখন বিষাদের সুর। শান্ত ও নীরব। সমাপনী অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই প্যারিসে ফিরতে শুরু করেছে সেই পুরোনো রূপ। ভালোবাসার শহরে নেই নিরাপত্তার কড়াকড়ি। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে স্বাভাবিক জীবন-যাপন। খুলে ফেলা হচ্ছে রাজধানীর অস্থায়ী ভেন্যু ও বিভিন্ন স্থাপনা।
ফ্রান্সের অর্থনীতিতে প্যারিস অলিম্পিক রেখেছে বড় প্রভাব। দেশটির অন্যতম প্রধান ব্যাংক, ব্যাংক অব ফ্রান্স বলছে বছরের তৃতীয় কোয়ার্টারে অর্থনীতি পরিধি বাড়তে পারে দশমিক দুই পাঁচ শতাংশ। পর্যটন খাতেও লেগেছে ইতিবাচক ছোঁয়া।
ফ্রান্সের পর্যটনমন্ত্রী অলিভিয়া গ্রেগর বলেছেন, ‘শুধু প্যারিসের জাদুঘর ও রেস্টুরেন্টগুলোতে বেড়েছে ২৫ শতাংশ দর্শনার্থী ও ভোজন রসিক।’
জনপ্রিয় ইভেন্ট ফুটবল এবং সেইলিংয়ের জন্য পর্যটকের ঢেউ লেগেছিল মার্শেইয়ে। একই চিত্র ছিল হ্যান্ডবল ও বাস্কেটবলের ভেন্যু লিঁলেও। অলিম্পিক গেমসের প্রথম সপ্তাহে এই দুই শহরে বিক্রি হয়েছে প্রায় দেড় মিলিয়ন টিকিট।
অলিম্পিক চলাকালে গত বছরের তুলনায় প্রায় ৪৫ শতাংশ বাড়ে পর্যটকের সংখ্যা, যা চাঙা করেছে দেশটির অর্থনীতি।