২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ বাতিল করা হয়েছে। যারা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ পেয়েছেন, তাদের ই-মেইলে বাতিলের খবর জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল লতিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৪-২৫ অর্থবছরেরটি বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ পেয়ে যারা বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন, তারা বিপাকে পড়েছেন। কারণ, ভিসা আবেদন, কাগজপত্র গোছানোসহ নানা কাজ এগিয়ে রেখেছেন অনেকে। কেউ কেউ ভিসাও পেয়েছেন। যারা ভিসা পেয়েছেন, তাদের অনেকেরই সেপ্টেম্বর মাসে পড়তে যাওয়ার কথা। এ জন্য আনুষঙ্গিক সব প্রস্তুতিও শেষ। তারা বিপাকে পড়েছেন সবচেয়ে বেশি।
এমন উদ্ভূত পরিস্থিতির ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল লতিফ বলেছেন, এটা শুধু বাতিল করা হয়েছে, পরবর্তী করণীয় কী হবে, তা ঠিক করা হবে। শিগগিরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।
প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপে আবেদনের নানা শর্তের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু শর্ত পাঠকদের সুবিধার্থে উল্লেখ করা হলো-
১. বাংলাদেশের নাগরিক যারা ইতোপূর্বে বিদেশে কোনো মাস্টার ডিগ্রি বা পিএইচডি করেননি তারা মাস্টার ডিগ্রি বা পিএইচডির জন্য আবেদন করতে পারবেন। যারা ইতোপূর্বে বিদেশে কোন মাস্টার ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন, তারা পিএইচডির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সরকারি চাকরিজীবীর ক্ষেত্রে যাদের চাকরি স্থায়ী হয়েছে শুধু তারাই আবেদনের যোগ্য হবেন।
২. সরকারি কর্মকর্তার ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের পর দেশে বা বিদেশে সরকারি সুবিধার আওতায় (প্রেষণে বা শিক্ষা ছুটিতে) কোনো মাস্টার ডিগ্রি সম্পন্ন করে থাকলে পূণরায় মাস্টার ডিগ্রি সম্পন্ন করার নিমিত্ত ফেলোশিপের জন্য বিবেচিত হবেন না।
৩. বেসরকারি প্রার্থীর ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে বিদেশে কোনো মাস্টার ডিগ্রি সম্পন্ন করে থাকলে তিনি পূণরায় মাস্টার ডিগ্রি সম্পন্ন করার নিমিত্ত ফেলোশিপের জন্য বিবেচিত হবেন না।
৪. পিএইচডি সম্পন্নকৃত প্রার্থীর আবেদন ফেলোশিপের জন্য বিবেচিত হবে না।
৫. আবেদনকারীকে প্রত্যাশিত ডিগ্রির জন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে নিঃশর্ত এডমিশন অফার (পূর্ণকালীন) আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
৬. The Times Higher Education World University Overall Rankings 2024 অনুযায়ী মাস্টার ডিগ্রির জন্য ১ থেকে ২০০ এবং পিএইচডির জন্য ১ থেকে ১০০ এর মধ্যে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অফার লেটার থাকতে হবে। আবেদনপত্র গ্রহণ ও মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বর্ণিত র্যাংকিংয়ের বাইরে অথবা অন্য কোনো র্যাংকিং বিবেচনা করা হবে না।
৭. ফেলোশিপের আওতায় অধ্যয়ন/গবেষণার ক্ষেত্রসমূহ : উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে মানব সম্পদ উন্নয়নে ফেলোশিপ প্রদানে নিম্নোক্ত ক্ষেত্রসমূহে প্রাধান্য দেওয়া হবে- Finance and Economics, Public Sector Management, Legal and Security Studies, Social Protection, Education, Women Empowerment, Public Health, Trade and Investment, Power and Energy, Environment and Climate Change, Information and Communication Technology, Diplomacy, Agriculture and Food Security, Applied Sciences (Biological, Medical science, Engineering, etc).
৮. সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে অধ্যয়ন/গবেষণার বিষয় আবশ্যিকভাবে স্ব স্ব চাকরি সংশ্লিষ্ট হতে হবে।
৯. শিক্ষকদের ক্ষেত্রে অধ্যয়ন/গবেষণার বিষয় আবশ্যিকভাবে স্ব স্ব বিষয় সংশ্লিষ্ট হতে হবে;
১০. এ ফেলোশিপের আওতায় মাস্টার ডিগ্রির জন্য সর্বোচ্চ ২ বছর এবং পিএইচডি ডিগ্রির জন্য সর্বোচ্চ ৩ বছরের ফেলোশিপ প্রদান করা হবে। কোনো অবস্থাতেই এর অতিরিক্ত মেয়াদে ফেলোশিপ প্রদান করা হবে না।