ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর বাবার বাড়ি থেকে আখাউড়ায় স্বামীর বাড়ি ফেরার পথে তিন শিশুকন্যাসহ নিখোঁজ গৃহবধূ খালেদা আক্তার রিতুকে বগুড়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় রিতুর সঙ্গে থাকা মেহেদী হাসান নামে এক তরুণকেও আটক করা হয়েছে।
রবিবার (৯ জুন) সকালে বগুড়া সদর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার ওসি মো. আসাদুল ইসলাম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ৬ মাস ধরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বগুড়ার মেহেদী হাসান নামে এক তরুণের সঙ্গে ওই গৃহবধূর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শুক্রবার (৭ জুন) মেহেদী হাসান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন। একই দিন ওই গৃহবধূ খালেদা আক্তার রিতু তিন মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে আখাউড়ায় স্বামীর বাড়িতে আসার কথা বলে বের হয়ে যান। পরে মেহেদী হাসানের সঙ্গে তারা বগুড়ায় চলে যায়।
তিনি বলেন, নিখোঁজের ঘটনায় শনিবার (৮ জুন) বিকেলে বিজয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন গৃহবধূর বাবা। পরে পুলিশ তদন্ত শুরু করলে তাদের বগুড়া থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রেমিক মেহেদী হাসান ও নিখোঁজ তিন সন্তানসহ গৃহবধূ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
রিতুর বাবা আব্দুল আউয়াল ভুঁইয়া বলেন, সকালে আমার মেয়ে ও নাতনিদের বগুড়ায় একটি বাড়িতে পাওয়া গেছে। আমি ফোনে আমার বড় নাতনির সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশের সঙ্গে আমাদের লোকজন আছে। তারা বগুড়া থেকে রওনা দিয়েছে। তবে তাদের সঙ্গে থাকা ওই ছেলের সম্পর্কে আমার ধারণা নেই।
খালেদা আক্তার রিতুর স্বামী আতাউর রহমান ভুঁইয়া বলেন, আমার স্ত্রী ও মেয়েদের বগুড়ায় পাওয়া গেছে। পুলিশের সঙ্গে আমার ছোট ভাই রয়েছে। তারা বগুড়া থেকে রওনা দিয়েছে।
এর আগে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন তিন শিশুকন্যাসহ খালেদা আক্তার রিতু। নিখোঁজ গৃহবধূ খালেদা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দ্বিজয়পুর গ্রামের আতাউর রহমান ভুঁইয়ার স্ত্রী। রিতুর বাবার বাড়ি বিজয়নগর উপজেলার মিরাশানী (ভূঁইয়া বাড়ি) গ্রামে।
এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে গৃহবধূর বাবা আব্দুল আউয়াল ভুঁইয়া বিজয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।