টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে দীঘিনালা-সাজেক-লংগদুর প্রধান সড়কে যান চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ঠেলাগাড়ি ও ভ্যান গাড়ি দিয়ে পরীক্ষা দিতে যান এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা।
উপজেলার-মেরুং ইউনিয়নে সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। মেরুং-লংগদু সড়কের দাঙ্গাবাজার মূল সড়ক প্লাবিত হয়ে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে মেরুং ইউনিয়ন এর ছোবাহানপুর, চিটাগাংপাড়া, ১নং কলোনি, ৩নং কলোনি এলাকার নিম্নাঞ্চল পানি ঢুকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বাসিন্দারা।
এদিকে কবাখালী ইউনিয়ন এর মাইনী ব্রিজ থেকে কবাখালী বাজার পর্যন্ত সাজেক যাওয়ার প্রধান সড়ক পানিতে তলিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এ ছাড়াও উপজেলার, কবাখালী, বোয়ালখালী ও মেরুং এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো ভারি বর্ষণে প্লাবিতসহ বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে জরুরি সেবাকেন্দ্র ও মেরুং, কবাখালি, বোয়ালখালী, বাবুছড়াসহ চারটি ইউপিতে খোলা হয়েছে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র।
মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোছা মাহমুদা বেগম লাকী বলেন, দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়ন এ বন্যায় বেশি ক্ষতির আশংকা থাকে। এরইমধ্যে চার/পাঁচটি এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি এলাকাগুলোতে মাইকিং করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ জানান, টানা ভারী বৃষ্টির কারণে উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে এবং নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চারটি ইউপিতে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।