বগুড়ায় বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে বাবর আলী নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে গলাকেটে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে বারুনী সেতুর ওপর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত বাবর আলী বগুড়া শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের আকাশতারা এলাকার বাসিন্দা। একই ওয়ার্ডের ধাওয়াপাড়া বটতলা এলাকায় ‘রাহিম স্টোর’ নামে একটি মুদি দোকান ছিল তার।
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাশরাফি হিরো বলেন, বাবর আলী আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী এবং জেলা যুবলীগের সহসভাপতি লতিফুল করিমের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন।
বগুড়া জেলা যুবলীগের সহসভাপতি লতিফুল করিম বলেন, বাবর আলী আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন। আমার সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল। তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে আড্ডা দিতাম। আমার সঙ্গে সখ্যই কাল হলো তার জন্য। সন্ত্রাসীরা বাবর আলীকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে।
নিহতের ছেলে আবদুর রাহিম বলেন, আমার বাবা রাজনৈতিক কোনো মিছিল-সভায় অংশ নেননি। যুবলীগের এক নেতার সঙ্গে সখ্য থাকলেও এটা রাজনৈতিক কোনো হত্যাকাণ্ড নয়। শহরের ধাওয়াপাড়া বটতলা এলাকায় অনেক বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছিল বাবার। সেই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চোখ পড়ে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীর।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশজুড়ে অস্থিরতার সুযোগে সন্ত্রাসীরা বাবার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখলের চক্রান্ত করে। সে চক্রান্তের অংশ হিসেবেই সোমবার (১২ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী বাসার সামনে থেকে বাবাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ফুলবাড়ী এলাকায় করতোয়া নদীর ওপর বারুনী ব্রিজে নিয়ে সন্ত্রাসীরা গলাকেটে হত্যার পর আমার বাবার লাশ সেখানে ফেলে রেখে গেছে।
আবদুর রাহিম বলেন, বাবার খুনিরা সবাই তাদের মুখচেনা। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখলে নিতেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ফুলবাড়ি ফাঁড়ি পুলিশের উপপরিদর্শক আবদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাবর আলী পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। পাশাপাশি জেলা যুবলীগের এক নেতার সঙ্গে ওঠাবসা ছিল। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। বাবর আলীকে হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।