অবৈধ সম্পদ ও দুর্নীতির বিষয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদকে ৬ জুন ডেকেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে এদিন তিনি হাজির না হলে তার কোনো বক্তব্য নেই বলে ধরে নেয়া হবে। এমনটি জানিয়েছেন দুদক কমিশনার জহুরুল হক।
মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেলে দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
দুদক কমিশনার বলেন, ‘৬ জুন বেনজীর আহমেদ না এলে দুদক ধরে নেবে তার কোনো বক্তব্য নেই। তবে বেনজীর চাইলে অনুসন্ধান কর্মকর্তা তাকে আরও ১৫ দিন সময় দিতে পারবেন।’
২৩ মে বেনজীর আহমেদের সম্পত্তির ৮৩টি দলিল জব্দের আদেশ দেন আদালত। সঙ্গে দেয়া হয় ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ফ্রীজ করার আদেশ। দুদিন না যেতেই ২৬ মে বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের ১১৯টি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ আসে আদালত থেকে। এছাড়া রাজধানীর গুলশানের আলিশান চারটি ফ্ল্যাট, শতভাগ এবং আংশিক মালিকানাধীন ২৩ কোম্পানির শেয়ার স্থগিত করার আদেশও দেয়া হয়।
এদিকে, ৬ জুন বেনজীরকে এবং ৯ জুন স্ত্রীসহ তার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে তলব করা হয়। কিন্তু ওই তারিখে বেনজীর আহমেদ কমিশনে আসবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য: বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাব এবং র্যাবের সাবেক ও বর্তমান যে ৭ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের নাম আছে। তখন তিনি আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন।
সম্প্রতি দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে দাবি করা হয়, বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এ আইজি। জাতীয় ওই দৈনিকে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যেখানে তার নানা অর্থ-সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়।