বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫৮ সদস্যবিশিষ্ট নতুন সমন্বয়ক কমিটি দিয়েছেন সমন্বয়করা। শনিবার (৩ জুলাই) সমন্বয়ক রিফাত রশিদ এক ফেসবুক বার্তায় এই কমিটি প্রকাশ করেন। কমিটিতে সমন্বয়ক এবং সহ-সমন্বয়ক মিলিয়ে ১৫৮ জন সদস্য রাখা হয়েছে। এছাড়াও সমন্বয়ক কমিটি বর্ধিত করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
রিফাত রশিদ তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্মমভাবে চালানো গণহত্যার বিচার, দায়ীদের পদত্যাগ এবং গ্রেপ্তারকারীদের মুক্তির দাবিতে সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে ১৫৮ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয়ক টিম গঠন করা হলো।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রকাশিত কমিটিতে সমন্বয়ক রয়েছেন ৪৯ জন। আর সহ-সমন্বয়ক রয়েছেন ১০৯ জন। সমন্বয়ক কমিটিতে যাদের নাম রয়েছে তারা সকলেই ঢাকাসহ দেশের প্রথমসারির সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
নতুন এ কমিটিতে ১ নং সমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন নাহিদ ইসলাম। এরপর রয়েছে- সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, মো. মাহিন সরকার ও আব্দুল কাদেরের নাম। এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে অন্য সমন্বয়কদের নাম।
এরআগে, বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সারাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং জেলা শহরে সমন্বয়ক কমিটি গঠন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন সমন্বয়ক আব্দুল কাদের। সেদিন বেশকিছু কলেজ এবং জেলা শহরের সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং জেলা শহরে সমন্বয়ক টিম গঠন করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও জেলার প্রাথমিক সমন্বয়ক টিম ঘোষণা করা হলো।
তিনি আরও লেখেন, পরবর্তীতে এই টিমে আরো সংযোজন করা হবে। এবং অতিশিগগিরই সারাদেশে সমন্বয়ক টিম গঠন করে, চলমান আন্দোলন আরো জোরদার করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই ৬৫ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয়ক কমিটি প্রকাশ করেছিলেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন সমন্বয়ের উদ্দেশ্যে সেই কমিটি দেওয়া হয়েছিল।