বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী বয়ে চলা ইছামতি নদীর ভাতশালা এলাকায় বেড়িবাঁধ ভাঙনের উপক্রম হয়েছে। ক্রমশ ভাঙতে ভাঙতে বাঁধটি আর মাত্র কয়েক ফুট টিকে আছে। যেকোনো সময় ভেঙে গোটা এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হলে চরম ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা গেছে, দেবহাটার ইছামতি নদীর ভাতশালার বিশ্বাস বাড়ি এলাকার বেড়িবাঁধটি বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ভাঙতে ভাঙতে বেড়িবাঁধের এক-তৃতীংশ ভেঙে নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। একাধিকবার সংস্কার কাজে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা কাজে আসেনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হলে লোনা পানি ঢুকে হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল ও মৎস ঘের ভেসে যেতে পারে। এ ছাড়া শত শত পরিবার পানিবন্দি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বর্তমানে এলাকাটিতে মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছেন।
স্থানীয় এবাদুল ইসলাম জানায়, ভাতশালা বিশ্বাস বাড়ি সংলগ্ন বেড়িবাঁধটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা আছে। যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে। কয়েকমাস আগে ভেড়িবাঁধের ভাঙন প্রতিরোধের জন্য সরকারিভাবে বালুর বস্তা দেওয়ার কথা থাকলেও তা সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়নি। আমরা ভয়ে আছি জোয়ারের পানির চাপে যদি বাঁধ ভেঙে যায় তবে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো। আমাদের ক্ষতির শেষ থাকবে না।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বকুল জানান, ভাতশালা এলাকায় নদী ভাঙন চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা আছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আশি করি ভাঙন ঠেকানোর জন্য কাজ শুরু হবে।
এদিকে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দীন শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত কাজের আশ্বাস দেন। তিনি জানান, এ বাঁধটি আমরা বার বার সংস্কার করেও তা ঠিক রাখতে পারছি না। এখানে স্থায়ী বাঁধ দেওয়ার বিকল্প নেই। আপাতত পাইলিং করে বস্তা ও মাটি ভরাট দিয়ে কোনোরকম বাঁধ রক্ষার কাজ শনিবার (২৪ আগস্ট) থেকে শুরু হবে।